রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে শূন্যপদে নিয়োগের দাবি রয়েছে দীর্ঘদিনের। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই সব শূন্যপদে নিয়োগের পথে হাঁটা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার বসেছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্যতম সিদ্ধান্ত হল ৪৪০ জন Lower Division Clerk নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ৮৬টি নতুন পদ তৈরি করা হবে দমকলে। এছাড়াও ৫,৪৬৮ জন Community Health Officer নিয়োগ করা হবে চুক্তির ভিত্তিতে। আর সবটাই করা হবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই। তবে ক্লার্ক পদে নিয়োগ কিছুটা দেরীতে হতে পারে। গতকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে মধ্যে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদে আড়াই হাজার কর্মপ্রার্থীর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি রাজ্যের নানা দফতরে আরও ৩ হাজার পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার যে বৈঠক বসে সেখানে নিয়োগের বিষ্যয়টি ছাড়াও আরও গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিচঝু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার মধ্যে অন্যতম হল মালদার গাজোলে কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে ৯৯ বছরের লিজে ২৮.১১৫ একর জমি দেওয়ার প্রস্তাব মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। গাজোলের রাতুল ও মহানগর মৌজায় জমি দেওয়া হচ্ছে ওই সংস্থাকে। সেখানে ইথানল উৎপাদন হবে। ওই কারখানাটি গড়ে উঠলে মালদা জেলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রচুর কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি বীরভূমের ঢেউচা-পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্পের জমিদাতা পরিবারের সদস্যকে পুলিশে চাকরি দিতে ন্যূনতম যোগ্যতায় কিছু ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্তিসভার বৈঠকে। ঢেউচা- পাঁচামিতে যে সব পরিবার কয়লা খনির জন্য জমি দিয়েছে, তাঁদের জমির ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে বিশেষ পুনর্বাসন প্যাকেজ। সেই প্যাকেজের আওতায় পরিবারের একজন সদস্যকে জুনিয়র পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, চাকরির প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অনেকের নেই। এই পরিস্থিতিতে পরিবারগুলি চাকরি পাওয়া থেকে যাতে বঞ্চিত না হয়, তার জন্যই যোগ্যতার ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। ভাল খবর আছে সাংবাদিকদের জন্যও। প্রতি জেলায় সাংবাদিকদের সোসাইটিকে বাড়ি তৈরির জন্য ১০ কাঠা করে জমি ১ টাকা সেলামি ও ১ টাকা বাৎসরিক ভাড়ায় দেবে সরকার। কলকাতায় ইতিমধ্যে এই কাজ হয়েছে। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে রাজ্য সরকারের মৎস্যচাষ নীতিও। সরকারি জলাশয়গুলিতে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে।