দেশ

মণিপুর ইস্যুতে অনাস্থা প্রস্তাব আনল I.N.D.I.A.

 সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই বিরোধী দলগুলি মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবি জানিয়ে আসছিল। এদিন মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল ইন্ডিয়া জোট। জোটের হয়ে কংগ্রেসের সাংসদ গৌরব গগৈ মণিপুর ইস্যুতে লোকসভা স্পিকারের কার্যালয়ে একটি নোটিস জমা দিয়েছেন। একই বিষয় আলাদা করে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের BRS-ও। সংসদীয় রীতি অনুযায়ী, ৫০ জন সাংসদ একসঙ্গে অনাস্থা প্রস্তাব আনলে, তা মানতে বাধ্য লোকসভা স্পিকার। ইতিমধ্যেই লোকসভায় গৃহীত হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব। প্রধানমন্ত্রী সংসদকে এড়িয়ে চলছেন, তাতে অনাস্থা প্রস্তাব এনে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে বাধ্য করা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বলে দাবি ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের। মণিপুরের জাতি হিংসা নিয়ে গত চার দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবিতে সংসদের দুই কক্ষেই সরব হয়েছিলেন বিরোধী মহাজোটের সাংসদরা। কিন্তু সেই দাবিতে কর্ণপাতই করেনি সরকার পক্ষ। শেষ পর্যন্ত সংসদের ভিতরে মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ খোলাতে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পক্ষেই হাঁটল কংগ্রেস। বুধবার সকাল ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের  কাছে সরকারের বিরুদ্ধে ওই অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। ওই প্রস্তাবে কংগ্রেসের সব সাংসদ স্বাক্ষর করেছেন। নিয়মানুযায়ী, সরকারের বিরুদ্দে অনাস্থা আনতে হলে কমপক্ষে ৫০ সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন হয়। কংগ্রেস সাংসদের জমা দেওয়া অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ খতিয়ে দেখবেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ওই প্রস্তাব নিয়ে কবে আলোচনা হবে। কংগ্রেসের পাশাপাশি মণিপুর নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চেয়ে প্রস্তাব জমা দিয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভারত রাষ্ট্র সমিতির সাংসদ নামা নাগেশ্বর রাও। সকালে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গৌরব গগৈ বলেন, ‘বিজেপিই আমাদের অনাস্থা প্রস্তাব আনতে বাধ্য করেছে। গোটা দেশবাসীর জানার অধিকার রয়েছে, মণিপুরে কী ঘটছে। কেন দুই মাসেরর বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয সরকার হাত গুটিয়ে বসে রইল। জাতি হিংসার পিছনে ষড়যন্ত্রকারী কারা, তা ফাঁস হওয়া উচিত।’ এদিনই কংগ্রেসের আর এক সাংসদ মণীশ তিওয়ারি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত রেখে মণিপুর নিয়ে আলোচনা চেয়ে এক মুলতুবি প্রস্তাবও জমা দিয়েছেন।