২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই রায় বহাল থাকবে। বৃহস্পতিবারই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছিল কলকাত হাইকোর্টে। ওএমআর শিট প্রকাশ করা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে দু’রকম কথা বলেছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই বিতর্কে এদিন হাইকোর্টে জবাবদিহি করে পর্ষদ। তার আগেই অবশ্য সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ২০২২ সালে প্রায় ১১ হাজার শূন্য পদে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রথম দিকে তা নিয়ে নানা বিতর্ক ও আইনি লড়াই চলেও কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়নি। আদালতের শর্ত অনুযায়ী, নিয়োগপ্রাপ্ত সব প্রার্থীর ওএমআর শিট নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার কথা ছিল পর্ষদের। কিন্তু পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে জানায়, ওই ওএমআর শিট মুখবন্ধ খামে পেশ করা হবে। পর্ষদের এই দ্বিমুখী অবস্থানের কথা শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।