আজ ২৬তম তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মঞ্চ থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সোচ্চার হন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্বকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘সিসিটিভি ওখানে লাগানো হবেই। আর কোনও ছাত্রের প্রাণ আগামী দিনে এভাবে যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওখানে সিসিটিভি বসবে। ছাত্র সমাজের কাছে আমার বার্তা, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হযে লড়াই করতে হবে। সৌভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তুলতে হবে। হিংসা নয়। অন্যায়, অপরাধের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে। আর র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাসই অঙ্গীকার, আমরা সিসিটিভি লাগাবই। আমাদের সরকার ইতিমধ্যেই অ্যান্টি র্যাগিং হেল্প লাইন চালু করেছে। সেটা সারা বাংলায় প্রযোজ্য।’ বামপন্থীদের নিশানা করে দিন অভিষেক বলেন ‘এটা আসলে বংশের রোগ। ওদের দাদুরা ছিল কম্পিউটারের বিরোধী। বাবারা ছিল ইংরেজি শিক্ষার বিরোধী। আর ছেলেরা হয়েছে সিসিটিভি লাগানোর বিরোধী। আমি এখান থেকে বলে যাচ্ছি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি লাগাবই। কেউ ঠেকাতে পারবে না।’ এদিন মিডিয়াকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘মিডিয়ার লোকজন তদন্ত করে না। মানুষকে কলুষিত করেন। এটা র্যাগিং নয়? কোনও বাপের ব্যাটা থাকলে বলুক দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে মৃত্যু বরণ করেবে।’