খেলা

ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন দশ জনের মোহনবাগান

মোহনবাগান –  (পেত্রাতোস)

ইস্টবেঙ্গল – 

ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন সুপার জায়ান্ট মোহনবাগান। ১৭তম বার সেনাদের এই  টুর্নামেন্ট জিতে ইস্টবেঙ্গলকে পেছনে ফেলল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব। ডার্বির বদলা ডার্বিতেই। ঠিক তিন সপ্তাহ আগে ডুরান্ডের প্রথম বড় ম্যাচ হেরেছিল বাগান। এদিন সুদে আসরে বদলা। দশ জনের মোহনবাগানের কাছে হার ইস্টবেঙ্গলের। নির্ধারিত সময়ের ২৯ মিনিট এবং ৯ অতিরিক্ত মিনিট দশজনে দুর্গ অক্ষত রাখে সবুজ মেরুনের দামাল ফুটবলাররা। ১৯ বছর পর পাল্টে গেল পাশা। ২০০৪ সালে ডুরান্ড ফাইনালে শেষ সাক্ষাতে মোহনবাগানকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। লাল হলুদ তাঁবুতে শেষ সর্বভারতীয় ট্রফি ঢুকেছিল ২০১২ সালে ট্রেভর মর্গ্যানের জমানায়। কাটল না ১১ বছরের খরা। অন্যদিকে ২৩ বছর পর ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। আইএসএল জিতে মরশুম শেষ করেছিল মোহনবাগান। এবার ডুরান্ড দিয়ে শুরু। একটা সময় ডুরান্ডের শেষ আটে ওঠা অনিশ্চিত ছিল বাগানের। প্রথম দিন থেকেই জুয়ান ফেরান্দো এটাকে প্রাক মরশুম প্রস্তুতি বলে আসছেন। কিন্তু শেষে বাজিমাত। প্রথমার্ধে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন থাপা। ফলে জোড়া হলুদ কার্ডের জন্য তাঁকে দেখতে হল লাল কার্ড। রেফারির মার্চিং অর্ডারে মোহনবাগান ১০ জনে পরিণত হয়ে গেল।  তখন নিশ্চয়ই মোহনবাগান সমর্থকদের বুকটা ছ্যাৎ করে উঠেছিল। এর পরই তারা বাঘের মতো গর্জে উঠে। রবিবাসরীয় সন্ধেয় ৪৫ হাজারের যুবভারতী সাক্ষী থাকল ইতিহাসের।  ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা সেলিব্রেশন করতে শুরু করে দিয়েছিলেন। তবে সিডনির বছর তিরিশের এক বাসিন্দা মনে মনে ঠিক করে নিয়েছিলেন যে, ভেঙে গেলেও মচকাতে দেবেন না দলকে। করবেন চ্য়াম্পিয়ন। ‘আমাদের সূর্য মেরুন’ গানের দু’টি লাইন যেন মনে করিয়ে দিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ‘জন্মেছি মাথায় নিয়ে খেলোয়াড়ি পরোয়ানা। বুকের এই কলজে বলে, লড়াই করো হার না মানা।’ ম্য়াচের বয়স তখন ঠিক ৭১ মিনিট। দিমিত্রি মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ছুটতে শুরু করলেন। লাল-হলুদের গর্ব করার মতো রক্ষণ ভুল করে ফেলল এবার। কাট করে বক্সের বাইরে থেকে নিলেন আগুনে শট। সুইং করে বল প্রথম বার ঘেঁষে ঢুকে গেল। প্রভসুখন গিল তখন নীরব দর্শক! আর এই গোলের পরেই মোহনবাগান সমর্থকরা উদযাপন শুরু করে দেন। ৯০ মিনিটের পর নয় মিনিট রেফারি অতিরিক্ত দিয়েছিলেন। ইস্টবেঙ্গল দাঁত ফোটাতে পারেনি আর।