নয়াদিল্লি : গলা পর্যন্ত ডুবে রয়েছে ঋণে। সংসারে চার সন্তান-সহ ছয়টি পেট। সংসার চালাতে হিমশিম অবস্থা। দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী বেশিরভাগ সময়ই মদে বেঁহুশ। একার পক্ষে সংসার চালাতে নাজেহাল অবস্থা মহিলার। এ হেন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে সহজ এক রাস্তা বেছে নিলেন কীর্তিমান মা। ১ লাখ টাকায় এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিলেন নিজের ১৫ বছরের মেয়েকে। তবে ভাগ্যক্রমে ওই কিশোরী সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর খপ্পর থেকে পালিয়ে আসতে পেরেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী দিল্লির বাওয়ানা অঞ্চলে। কিশোরীর দাবি, তাই এক ভাইকেও বিক্রি করে দিয়েছে তার মা। পালিয়ে আসা ওই কিশোরী প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানায়। প্রতিবেশীরাই মহিলা কমিশনকে খবর দেয়। কমিশনের উদ্যোগে ওই কিশোরীর একটি হোমে ঠাঁই হয়েছে। কিশোরী কমিশনের সদস্যদের জানিয়েছে, গত সপ্তাহে তার মা তাকে নিয়ে বদরপুরে মাসির বাড়ি যাবে বলে রওনা দেয়। কিন্তু মাঝপথে একটু বিশেষ কাজের কথা বলে মা তাকে নিজামুদ্দিনের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে তোলে। সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিল এক বয়স্ক ব্যক্তি। তাকে ওই ব্যক্তির কাছে বসতে বলে মা একটু ঘুরে আসছি বলে বের হয়। একই সঙ্গে জানায়, দেরি হলে ওই ব্যক্তিই তাকে বাড়ি পৌঁছে দেবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ওই ব্যক্তি তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার মতোই আরও কয়েকজন কিশোরী ছিল। তাকে একটি ঘরে বসতে বলে ওই ব্যক্তি। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই ব্যক্তি ঘরে ফিরে আসে। তার হাতে ছিল বিয়ের পোশাক। কিশোরীকে ওই পোশাক পরে চটপট বিয়ের জন্য তৈরি হতে বলে সে।কিশোরী আপত্তি জানালে রণমূর্তি ধারণ করে ওই ব্যক্তি। সাফ জানিয়ে দেয়, এক লাখার টাকার বিনিময়ে তার মা তাকে বিক্রি করে গিয়েছে। তাই এখন সে যা বলবে সেটাই তাকে শুনতে হবে। তবে কিশোরীটি কোনওভাবে ওই ব্যক্তির চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। ঘরে ফিরে পুরো বিষয়টি জানায় প্রতিবেশীদের। মহিলা কমিশনের সঙ্গে পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। তবে ওই কিশোরীর মাকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।