সকালেই ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে হয়েছিল সিবিআই হানা। এরপর কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতেও গেল সিবিআই। তাঁর ভবানীপুরের বাড়িতে চলছে অভিযান। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। দীর্ঘসময় ধরে তল্লাশি করেও লাভ কিছুই হয়নি সেটা স্পষ্ট। কয়েকদিন আগে কামারহাটি পৌরসভায় গিয়েছিল ইডি। মদন মিত্রর বাড়িতে হানা দিয়ে নিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। যদিও এই নিয়ে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, ‘মন্ত্রীদের টার্গেট করছে সিবিআই। পরিকল্পনা করে হেনস্থার চক্রান্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সির।’ এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকর নিশানা করে লেখেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এর ধর্ণা হিট। বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে আসতে হয়েছে, তাতেও ফল শূন্য। রাজ্যপাল কোণঠাসা, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই নজর ঘোরাতে রাজনৈতিক পরিকল্পনায় আবার নামানো হল এজেন্সিকে। বিজেপির আত্মরক্ষার অস্ত্র। এইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে দমানো যাবে না।’ রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রর বাড়িতে তল্লাশি নিয়ে বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তদন্তের নামে ভয় দেখানো কাম্য নয়।’