১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে টাকা দেওয়া নিয়ে আগেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আদালত স্পষ্ট ভাষায় বলেছিল, যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের টাকা কেন দেওয়া হবে না? মঙ্গলবার আর এক কদম এগিয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের বিস্মিত প্রশ্ন, দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। কিন্তু তার তথ্য-প্রমাণ কই? অবিলম্বে রাজ্যের দ্বিতীয় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত চাইল ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের হলফনামাও তলব করল আদালত। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানিতে মন্ত্রক জানাবে তাদের অবস্থান।১০০ দিনের কাজে এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রাপ্য ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। দু’বছরে ৪,২০০ কোটি টাকার বেশি। এনিয়ে মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য চায় আসল উপভোক্তারা যেন প্রকল্পের সুবিধা পান। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও রাজ্যের অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্র কোনও রিপোর্ট দেয়নি। কেন দেয়নি? কেন দিনের পর দিন গরিব মানুষকে বঞ্চিত করে টাকা দেওয়া হয়নি? কেন্দ্র বারবার বেনিয়মের কথা বললেও আসলে কোনও তথ্যপ্রমাণই দিতে পারেনি। সোমবার বিচারপতি এই মামলাতেই বলেছিলেন, ঝুড়িতে যদি দু’একটা পচা আপেল থাকে, তাহলে ঝুড়ির সব আপেল ফেলে দেওয়া হয়, নাকি পচা আপেলগুলিকে ফেলা হয়? সোমবার ফের শুনানিতে কেন্দ্রকে তথ্য দিতে হবে।