জেলা

‘যতদিন অভিষেক আছে এখানে ধর্মের নামে বিভাজন হতে দেব না’, বিজয়ী সম্মিলনীতে থেকে বললেন অভিষেক

ফলতার বিজয়ী সম্মিলনীতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, ‘জনপ্রতিনিধির কাজ দাঙ্গা লাগানো নয় ,টাকা নিয়ে সেটিং করা নয় ,জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে থাকা। যতদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছে এখানে ধর্মের নামে বিভাজন হতে দেব না’। নজরে ২০২৪-র লোকসভা ভোট। পুজোর পর এবার জনসংযোগে জোর তৃণমূলের। কীভাবে? ১০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যে প্রত্যেকটি কেন্দ্রে বিজয়া সম্মিলনী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের সাংসদ-বিধায়কদের। ফলতায় অভিষেক বলেন, ‘আমার গতকাল এখানে কর্মসূচি করার কথা ছিল ফতেপুরের মাঠে। কিন্তু আপনারা জানেন, হঠাৎ করে আমাকে আবার নোটিশ পাঠিয়ে, ইডি দফতরে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়। সেকারণে ইচ্ছা বা মন না থাকলে, আপনাদের সভা একদিন পিছিয়ে,  আমাকে এজেন্সির দফতরে পৌঁছাতে হয়েছিল’। জানান, ‘সেখানে গিয়ে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য, কাগজ পৌঁছাতে বলা হয়েছিল। যদিও সেটা যদি অন্য কারও হাত দিয়ে পাঠিয়ে দিতাম, তাও হত। কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছিল, আপনি সশরীরে উপস্থিত থাকবেন’। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেও একাধিকবা ইডি তলব করেছে। অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই না করতে পেরে,  নানাভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখতে চাইছে। কিন্তু আমরা মাথা নত করব না। যেদিন যেদিন আমার কর্মসূচি ছিল,  সেদিন সেদিন সেই কর্মসূচিকে কীভাবে বাধাপ্রান্ত বা বিঘ্নিত করা যায়, তার একটা প্রচেষ্টা এরা মরিয়াভাবে চালিয়ে গিয়েছে’। অভিষেকের আরও বক্তব্য, ‘আমি যখন কলকাতা রাজভবনে বাইরে ধরনায় বসে আছি, তখন আমাকে নোটিশ পাঠিয়ে বলা হয় আপনি আসুন। যাতে ধরনাটা বানচাল হয়ে যায়। পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে হস্তক্ষেপে সেই সমন বাতিল হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল যে. আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা যাবে না। আপনি যে তথ্যগুলি চাইছেন, সেই তথ্যগুলি আনান।