বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি-র উত্তরকন্যা অভিযানকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা৷ পুলিশের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণ তুলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা৷ শেষে অবশ্য রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক আধিকারিক গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে উত্তরকন্যা ভিতরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাইরে আসেন৷ কিন্তু ওই আধিকারিকের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ বিজেপি-র উত্তরকন্যা অভিযানের কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত ছিল৷ ফলে আগে ভাগেই প্রস্তুত ছিল পুলিশ৷ উত্তরকন্যার বাইরেই শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়কদের ব্যারিকেড করে আটকে দেয় পুলিশ বাহিনী৷ এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিরোধী দলনেতা৷ তিনি অভিযোগ করেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে মহিলা পুলিশদের সামনে রেখে বিজেপির প্রতিনিধি দলকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ বিরোধী দলনেতা পুলিশ কর্তাদের বলেন, ‘উত্তরকন্যার ভিতরে গিয়ে আমরা কোনও ডেপুটেশন দেব না৷ শুধু দশ থেকে বারোজন বিধায়ক গিয়ে দেখে আসব সত্যিই মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো এখান থেকে সব পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে কি না৷ যদি মুখ্যমন্ত্রীর কথা মিলে যায়, তাহলে আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে যাবো৷’ যদিও বিরোধী দলনেতার অনুরোধ রাখেনি পুলিশ৷ উত্তরকন্যা চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি আছে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়৷ এর পরেই রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘এর জবাব যদি সুদে আসলে না দিতে পারি তাহলে আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী নয়৷ আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছি৷ তাঁকে প্রাক্তনও করে দেবো৷ তার পর এই পুলিশদের বুঝে নেবো৷ পৃথিবীটা গোল, দেখা আমাদের হবেই৷’ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব অজিত বর্ধন উত্তরকন্যার বাইরে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারীকে ভিতরে গিয়ে চা পানের আমন্ত্রণ জানান৷ অজিত বর্ধন বিরোধী দলনেতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘স্যর আসুন স্যার, চা খেয়ে যান৷ মন্ত্রীও ভিতরে আছেন৷’ যদিও সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী দলনেতা শর্ত দেন, অভব্য আচরণ করার জন্য এক পুলিশ আধিকারিককে ক্ষমা চাইতে হবে৷ আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে উত্তরকন্যায় ঢুকবেন বলেও দাবি করেরন বিরোধী দলনেতা৷