দেশ

সাসপেন্ড ইস্যুতে সংসদের গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ বিরোধীদের

সংসদে হামলার জেরে আলোচনা চেয়েছিলেন বিরোধী সাংসদরা। এর জেরে কণ্ঠরোধ করা হয়েছে বিরোধী দলের সাংসদদের। লোকসভা রাজ্যসভা মিলিয়ে ১৪১ জন সাংসদকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। যা বেনজির। এর এর জেরে সংসদ ভবনের বাইরে আবারও ঐক্যবদ্ধ বিরোধীরা। প্রতিবাদে সামিল হয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, শরদ পাওয়ার, দোলা সেন, শতাব্দী রায়, মালা রায়, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, অপরূপা পোদ্দার, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তাঁদের প্রশ্ন কেন বরখাস্ত করা বিরোধী সাংসদদের? সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে উত্তর দিতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীকে। বিরোধীদের স্লোগান, মোদি-শাহ মুর্দাবাদ… এই পরিস্থিতিতে সংসদ ভবনের বাইরে কার্যত ‘গরম’ হাওয়া বইছে। প্রসঙ্গত, সোমবারের পরে মঙ্গলবারও উত্তপ্ত সংসদের দুই কক্ষ। সোমবার একঘণ্টায় সংসদের দুই কক্ষ থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন ৭৮ জন বিরোধী সাংসদ। এনিয়ে সংসদে মোট সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের সংখ্যা ১৪১। এদিন শুরু থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ-স্লোগান দেখাতে থাকেন বিরোধী সাংসদরা। শেষ বেলা ১২টা পর্যন্ত সংসদের উভয়কক্ষ লোকসভা এবং রাজ্যসভা মুলতুবি ঘোষণা রাখা হয়। অন্যদিকে, সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা এদিন সংসদের গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের আরেকটি অংশ পার্লামেন্টের গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সেই বিক্ষোভে যোগ দেন মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। অন্যদিকে, সাংসদদের সাসপেন্ড করে দেওয়ায় তোপ দেগেছেন মহুয়া মৈত্র। ট্যুইটে তিনি বলেন, ৯২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে সরকার তিনটি বিল পাশ করাতে চাইছে। রাজ্যসভার নেতা ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, “এটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।”