কলকাতা

ইডিকর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর সিবিআইয়ের, কেন্দ্রকে তোপ দেবাংশুর

বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইডি অফিসারের ইতিহাস। রাজকুমার রাম নামের এই অফিসারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একটি এফআইআরে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে রাজকুমার রাম নামে এক ইডি অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। ইডি–সিবিআই সরকারিভাবে যদিও এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। এফআইআরে স্পষ্ট রাজকুমার নামে এক ইডিকর্তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও আয়বহির্ভূত সম্পতির মালিকানা সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯ ও ১২০-বি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ১৩(২) ও ১৩(১)(বি) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিপুল পরিমানে বেড়েছে রাজকুমারের সম্পত্তি। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে রাজকুমারের ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকার সম্পত্তি ছিল। ২০২০ সালের মার্চের ৩১ তারিখে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী চন্দ্রমা কুমারীর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ লক্ষ টাকা। এদিকে রাজকুমারের আয় ছিল ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ১৬ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা। বাড়তি ওই ৩৭ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকার উৎস নিয়ে বিভিন্ন স্তরেই প্রশ্ন উঠছে। এই মর্মে রাজ্যের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ইডি অফিসারের দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরে লেখেন, ‘বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলো সাবধান! ইডির জাদুকরী আধিকারিকরা তাদের দুর্নীতির জিনিসপত্র নিয়ে আগে থেকেই আসে৷ ২রা নভেম্বর, রাজস্থান ACB একজন ইডি অফিসারকে ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার জন্য ধরেছিল। ১লা ডিসেম্বর, তেলেঙ্গানার ডিভিএসি ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার জন্য একজন ঊর্ধ্বতন ইডি অফিসারকে গ্রেপ্তার করে। এবার একটি দেড় বছরের পুরানো এফআইআর দেখাচ্ছে যে রাজকুমার রাম, ইডি অফিসার যিনি সন্দেশখালিতে জনগণের ক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছিলেন, সিবিআই দ্বারা ₹৩৭.৫৮ লক্ষ মূল্যের অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পত্তির জন্য অভিযুক্ত হয়েছিলেন। এদের শাস্তি না দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার, বিরোধী রাজ্যগুলিকে উত্যক্ত করতে এই সব অফিসারদেরই ব্যবহার করে!’