এদিন আউট্রাম ঘাটে ট্রানজিট ক্যাম্পের অনুষ্ঠানে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানে এসে তিনি বুঝিয়ে দেন, কেন্দ্রের অসহযোগিতা সত্ত্বেও রাজ্য কীভাবে সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সুষ্ঠুভাবে এই বিশাল কর্মকাণ্ডকে সফল করে তোলে। তাঁর কথায়, কেন্দ্র কোনও সাহায্য করে না, কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়াই প্রতি বছর গঙ্গাসাগরের মেলাকে সফলতা দিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। তীর্থযাত্রীদের জন্য কর মকুব থেকে শুরু করে মেলার জন্য পরিকাঠামো গড়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ তফসিলি, কেউ উচ্চবর্ণ, কেউ বা নিম্নবর্গ হতে পারে। কিন্তু আমরা কখনও এ নিয়ে কোনও বিভাজনের রাজনীতি করিনি। আমরা সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাই। আমরা বলি ধর্ম যার যার। মেলা বা উত্সব সবার। দুর্গাপুজো যখন হয় তখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ আসেন। ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজের মর্যাদা দিয়েছে। তিনি জানান, গঙ্গাসাগর মেলার ব্যাপারে ৪-৫ দফা কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আবেদন করেছেন, কুম্ভকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করে পরিকাঠামো তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য করেছে কেন্দ্র, কিন্তু গঙ্গাসাগরকে একটা টাকাও দেয় না। উপরন্তু তৃণমূল সরকারে আসার পর কর মকুব করে দেওয়া হয়েছে। পুণ্যার্থীদের জন্য ৫ লাখ টাকা বিমা করিয়ে রেখেছে রাজ্য সরকার। লাইট দিয়ে গোটা এলাকা সাজানো হয়েছে। খরচ হয়েছে ৮ কোটি টাকা।