ছত্তিশগড়ঃ আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৩ সাধারণ নাগরিককে খতম করল মাওবাদীরা। আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল এড়িয়ে ফের এই এলাকায় মাওবাদীরা সক্রিয় হচ্ছে বলে আশঙ্কা বাড়ছে নিরাপত্তা বাহিনীর।ছত্তিশগড়ের দক্ষিণাংশের জঙ্গলঘেরা জেলা কাঙ্কের। বেশ কয়েকবছর ধরেই এই এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি হয়ে উঠেছে। পাশের জেলা বস্তারেও সেই একই পরিস্থিতি। একটা সময়ে এই সমস্ত জেলাগুলির বাসিন্দারা মাওবাদী আতঙ্কে দিনেদুপুরেও পথে বেরতে পারতেন না। আচমকা হামলা, প্রাণহানি রোজকার ব্যাপার। ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমনে কেন্দ্রীয় সরকার কম সচেষ্ট হয়নি। প্রথম মোদি সরকারের শেষপর্যায়ে এসে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ঘোষণা করেন, ছত্তিশগড় আপাতত মাওবাদী আশঙ্কামুক্ত। এই এলাকায় তাঁদের শক্তি খর্ব হয়ে গিয়েছে। তখনকার মতো ছত্তিশগড়বাসী স্বস্তি পেলেও, সমূলে যে মাওবাদীদের উৎপাটিত করা যায়নি, তা বোঝা গিয়েছে পরবর্তী সময়েই।বিগত লোকসভা ভোটেও ছত্তিশগড়ের বিভিন্ন জায়গায় মাওবাদীরা ভোটপ্রক্রিয়া বিঘ্নিত করতে বারবার চলেছে হামলা। বিশেষত নিরাপত্তা বাহিনীকে টার্গেট করে। তবে তাতে শহিদ হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রাণহানি হয়েছে সাধারণ মানুষেরও। ফলে মন্ত্রীর আশ্বাসের পরও বাসিন্দারা ততটা নিশ্চিন্ত হতে পারেননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার এরাজ্যের জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের পু্নর্বাসনের পথে ফেরানোর দৃষ্টান্ত তুলে ধরে ছত্তিশগড় সরকারকে সতর্ক করেছেন।আর এখনও পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। মঙ্গলবারও কাঙ্কেরে হামলা চালাল মাওবাদীরা। পথে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা। যার জেরে বলি হতে হল ৩ সাধারণ নাগরিককে। ফলে নতুন করে আতঙ্ক ফিরেছে কাঙ্কেরে। ঘটনার পর আরও জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। জঙ্গলের কোর এরিয়া এবং সীমানা অঞ্চলগুলিতে বাড়ানো হয়েছে টহলদারি।