কলকাতা

‘রাজনৈতিক সার্কাসে নেই, আমি সংবিধানের রক্ষাকর্তা’, শিলিগুড়িতে বার্তা রাজ্যপালের

 শিলিগুড়িঃ ফের প্রকাশ্যে এল রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব৷ শিলিগুড়িতে ডাকা রাজ্যপালের বৈঠকে গরহাজির থাকলেন রাজ্য প্রশাসনের প্রতিনিধিরা৷ উপস্থিত থাকলেন না পুলিশ প্রশাসনের কোনও কর্তা৷ ছিলেন না শাসকদলের জন প্রতিনিধিরাও৷ যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উষ্মা প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ সাফ জানালেন, রাজনৈতিক সার্কাসে নেই, তিনি সংবিধানের রক্ষাকর্তা৷ প্রয়োজনে আবার বৈঠক করবেন৷ যারা এবার আসেননি, পরের বৈঠকে তাঁরা উপস্থিত থাকবেন৷পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বুধবার শিলিগুড়িতে প্রশাসনের আধিকারিক, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ সূত্রের খবর, বৈঠকে বিরোধী দলের সমস্ত জন প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকলেও, ছিলেন না প্রশাসনের কোনও প্রতিনিধি৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, তৃণমূল সাংসদ শান্তা ছেত্রী৷ বৈঠকে আসেননি জেলাশাসক ও পুলিশ-প্রশাসনের কোনও শীর্ষ কর্তা৷ যে ঘটনায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েই উষ্মা প্রকাশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ তিনি বলেন, ‘‘ওনাদের আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল৷ কিন্তু পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী কাজ পড়ে যাওয়ায় ওনারা আসতে পারেননি৷ আশা করব পরবর্তী বৈঠকে ওনারা উপস্থিত থাকবেন৷ পরেরবার আমি নিজে ওনাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করব৷ আমি সব জেলায় যাব৷ কে এল, না এল, তাতে কিছু যায় আসে না৷’’এখানেই শেষ নয়, তাঁর কাছে যে রাজনৈতিক রঙ ও দলের কোনও স্থান নেই, এদিন তাও স্পষ্ট করেন রাজ্যপাল৷ সাফ বলেন, ‘‘রাজনৈতিক সার্কাসে নেই৷ আমি সংবিধানের রক্ষাকর্তা৷ আমি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করিনি৷ রাজভবনে যে কেউ আসতে পারেন৷ আমি রঙ দেখি না৷’’ শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে তিনি যে সর্বত ভাবে কাজ করতে চান, তাও জানান জগদীপ ধনকড়৷ যাদবপুর কাণ্ডে এদিন আরও একবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন রাজ্যপাল৷ বলেন, ‘‘সংবিধান ও মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা আমার কাজ৷ সেটা আমি করব৷ আমার যেভাবে ইচ্ছা হবে, সেভাবেই করব৷’’