খেলা

কমনওয়েলথ গেমস খেলা মানে টাকার অপচয়, দাবি অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানের

নয়াদিল্লিঃ “ভারতের কমনওয়েলথ গেমস থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। কমনওয়েলথ গেমসে খেলা মানে খালি টাকা আর অ্যাথলিটদের সময় নষ্ট।” বক্তব্য খোদ ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নারিন্দর বাতরার। তিনি বলছেন, কমনওয়েলথ গেমসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এতটাই দুর্বল যে, তাতে খুব একটা উপকার হয় না ভারতীয় অ্যাথলিটদের।কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের পারফরম্যান্স বরাবরই ভাল। ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসেও ভারত তৃতীয় স্থানে শেষ করেছিল। ভারতের ঝুলিতে পদক সংখ্যা ছিল ৬৬ টি। শুধু এবারই নয়, এর আগেও নিয়মিত কমনওয়েলথে ভাল ফলাফল করেছে ভারত। কিন্তু, সেই মেগা টুর্নামেন্ট থেকেই নাম তুলে নেওয়ার হুমকি দিল ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যসোসিয়েশন।অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নারিন্দর বাতরা বলছেন, “কমনওয়েলথ গেমসের মান খুব নিচু। এটা শুধু টাকা আর সময়ের অপচয়। আমরা কমনওয়েলথে ৭০ থেকে ১০০টা পদক পাই। অথচ, অলিম্পিকে গিয়ে দুটি পদকে আটকে যাই। তাঁর মানে, কমনওয়েলথ গেমসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভাল হয় না। তাছাড়া এই টুর্নামেন্ট খেললে ব়্যাঙ্কেরও উন্নতি হয় না। সুতরাং, কমনওয়েলথ খেলে সময় নষ্টর প্রয়োজন নেই। বরং আমরা আরও ভাল কোনও প্রতিযোগিতায় খেলে অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি।” যদিও বাতরা জানিয়েছেন, তিনি কোনও প্রতিযোগিতা বয়কটের পক্ষে নন।উল্লেখ্য, কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের অন্যতম সেরা ইভেন্ট শ্যুটিং এবার বাদ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে ২০২২ কমনওয়েলথে ভারতের পদক সংখ্যা অনেকটাই কমে যেতে পারে। এদিকে, ভারতের ক্রীড়া মন্ত্রক শুরু থেকেই কমনওয়েলথে শ্যুটিং ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছে। খোদ ক্রীড়া মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বিষয়টি দেখছেন। তবে, শুটিং না ফেরালে ভারত কমনওয়েলথ বয়কট করার হুমকিও দিয়েছে।  নভেম্বরের ১৪ তারিখ ভারতে আসছেন কমনওয়েলথ গেমসের প্রধান লুইস মার্টিন। সেদিনই এ বিষয়ে বাতরার সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। সেদিনই সমাধানসূত্র বের হতে পারে বলে আশা ক্রীড়ামহলের।