দেশ

মেহুল চোকসিকে ভারতের হাতে তুলে দেবে অ্যান্টিগা সরকার

নয়াদিল্লিঃ পিএনবি কেলেঙ্কারির তদন্তে বড় সাফল্যের মুখ দেখতে চলেছে দ্বিতীয় মোদি সরকার। মেহুল চোকসিকে ভারতে প্রত্যর্পণ করার সিদ্ধান্ত নিল অ্যান্টিগা সরকার। যে কোনও মুহূর্তে তাঁকে ভারতে ফেরানো হতে পারে। এমনকী ভারতের গোয়েন্দারা তাকে জেরাও করতে পারবেন।অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনি জানিয়েছেন, ‘মেহুল চোকসি একজন ঠগ। নিশ্চিত করে বলছি, তাকে আমরা ভারতের হাতে তুলে দেব। ওর বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ আছে, তার মুখোমুখি হতেই হবে। এটা শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার।’ নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, ‘ওর বিরুদ্ধে আমাদের হাতে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। এমন একটা লোককে আশ্রয় দিয়ে লাভ নেই। যদি ভারতের গোয়েন্দারা এখানে এসে চোকসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান, তাও পারেন। আমাদের সরকার সবরকম সহযোগিতা করবে।’
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে ১৩,৫০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরূপের পর আত্মরক্ষার্থে ধনকুবের নীরব মোদি এবং মেহুল চোকসি গা ঢাকা দেয় ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ছোট্ট দেশ অ্যান্টিগায়। সেটা ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস। এই দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতের কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। তাছাড়া অ্যান্টিগার পাসপোর্ট ব্যবহার করে পৃথিবীর অন্তত ১২৬টি দেশে ঘোরা যায়। এই সুযোগ নিয়েই বেশিরভাগ ঋণখেলাপিরা আশ্রয় নেয় সেই দেশে।তবে মেহুল চোকসি, নীরব মোদিকে ফেরাতে অ্যান্টিগার সঙ্গে নতুন করে প্রত্যর্পণ চুক্তির উদ্যোগ নেয় মোদি সরকার। চাওয়া হয় মেহুল চোকসি সম্পর্কিত তথ্য। ভারতের তরফে তা তুলে দেওয়া হয় অ্যান্টিগার হাতে। কিন্তু ঘটনাচক্রে দেখা যায়, সেসব তথ্য নিয়েই চোকসিকে নিজেদের নাগরিকত্ব প্রদান করেছে এই দ্বীপরাষ্ট্র। ভারতের ফিরলে গণপিটুনির শিকার হবে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে চোকসি নিজেও।তবে তাকে প্রত্যর্পণে ভারত সরকারের চাপ বাড়তে থাকায় গত জুন মাসে হীরে ব্যবসায়ী নিজেই বম্বে হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানায়, সে আপাতত অ্যান্টিগার নাগরিক। পিএনবি কেলেঙ্কারিতে সবরকম সহযোগিতা করতে চায়। এরপর কয়েক মাস অসুস্থতার দোহাই দিয়ে আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়ে গিয়েছে চোকসি। কিন্তু গত মাসে সত্য প্রকাশ্যে এল। অ্যান্টিগা সরকার চোকসিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু করায়, প্রথমেই তার চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। চোকসি বুঝতে পারে, সময় আসন্ন। এবার ধরা দিতেই হবে। নিউ ইয়র্কে সেই কথাই জানিয়ে দিলেন অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী।