জেলা

ডুয়ার্সে ইন্টারসিটির ধাক্কায় রক্তাক্ত হাতি, দেখা নেই বন বিভাগের

নাগরাকাটা: যে প্রাণীকে নিয়ে ডুয়ার্সে বন্য পর্যটন রমরমা করে চলে, সেই হাতি ট্রেনের ধাক্কায় জখম হয়ে জঙ্গলে ধুঁকছে। প্রশ্ন উঠছে বন বিভাগের উদাসীনতায়।শুক্রবার ভোরে ডুয়ার্সের নাগরাকাটার ধরণী চা বাগানের কাছে ইন্টারসিটির ধাক্কায় জখম হাতির সুশ্রষায় বন বিভাগ কেন উদ্যোগ নিচ্ছে না এখনও তা নিয়ে ছড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ।জানা গিয়েছে, শুক্রবার ডুয়ার্সের নাগরাকাটা জঙ্গল সংলগ্ন রেললাইনে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ধাক্কা মারে একটি হাতিকে। পরে সেই জখম হাতি লাইনের পাশে পড়ে থাকে অনেক্ষণ।দুর্ঘটনার পর বন্ধ এই লাইনে ট্রেন চলাচল।ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা অঞ্চলের ধরণীপুর চা বাগান।স্থানীয় ক্যারন স্টেশন থেকে একটু দূরে ধরণীপুর চা বাগানের কাছে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ধাক্কা মারে হাতি কে।এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, জখম হাতি পরে উঠে দাঁড়ায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় একটি মাঠের পাশে জঙ্গলে আশ্রয় নেয়।এদিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ও হাতি জখমের খবর পেয়ে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। আসে পুলিশ। কিন্তু বন বিভাগের কর্মীদের কেন দেখা নেই, এই প্রশ্নে ছড়ায় ক্ষোভ। হাতিটি মরে যেতে পারে, এমনই আশঙ্কা প্রবল হতে শুরু করেছে।হাতির সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা লাগায় ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিন।সেটি বিকল।আহত হয়েছেন ট্রেন চালক। যাত্রীরা জানিয়েছেন, ধরনিপুর চা বাগানের কাছে বানারহাট এবং ক্যারন রেল স্টেশন মাঝে হাতিটি লাইনের উপর চলে আসে। তখনই ধাক্কা মারে, শিলিগুড়ি-ধুবড়ি ইন্টারসিটি।ট্রেনের ধাক্কায় হাতির বাঁ পায়ে এবং শুঁড়ে আঘাত লেগেছে। যাত্রীদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রচন্ড জোরে একটি ধাক্কা লাগে।মুহুর্তে আতঙ্ক ছড়ায়। কয়েকজন কোনও রকমে ট্রেন থেকে নামেন। তারাই দেখতে পান হাতিকে ধাক্কা মেরেছে ইঞ্জিন। জখম অবস্থায় ইঞ্জিনের সামনে পড়ে রয়েছে সেই পুর্নবয়স্ক হাতি।