দেশ

হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটি আসনেই জয় বাম জোটের

হায়দরাবাদঃ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদেও জয়-জয়কার বাম এবং আদিবাসী-দলিত ছাত্র সংগঠনগুলির। এবিভিপিকে কার্যত ধূলিস্যাৎ করে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সবকটি পদেই ব্যপক জয় পেল বাম এবং দলিতদের জোট। বৃহস্পতিবার রাতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হয় হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রায় ৪২০০ ছাত্রছাত্রী ভোট দিয়েছেন। মূল লড়াই ছিল এবিভিপি বনাম বাম-দলিত জোটের। কিন্তু, বামেদের দাপটে পাত্তাই পেল না আরএসএসের ছাত্র সংগঠন। আগেরবারের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার নির্বাচনে একসঙ্গে লড়ার সিদ্ধান্ত নেই এসএফআই, ডিএসইউ(দলিত স্টুডেন্ট ইউনিয়ন), এএসএ (আম্বেদকর স্টুডেন্ট ইউনিয়ন)। ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এসএফআই-এর অভিষেক নন্দন। ৪২০০ ভোটের মধ্যে ২২০৫টি ভোট পেয়েছেন তিনি। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আম্বেদকর স্টু়ডেন্ট ইউনিয়নের গোপী স্বামী। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২০৩৯। যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ফোরামের কুমার রামাবত। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২০৪০। কালচারাল সেক্রেটারি পদে জয়ী হয়েছেন আম্বেদকর স্টুডেন্ট অ্যসোসিয়েশনের প্রিয়াঙ্কা বদরসেট্টি। এসএফআইয়ের সোহেল আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সচিব। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৭৭৬।জয় পেয়ে স্বভাবতই খুশি বাম ছাত্র শিবির। নবনির্বাচিত সভাপতি অভিষেক বলছেন, “এই জয় আরএসএস-বিজেপির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জয়। ওঁরা এই ক্যাম্পাসে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করছে। ছাত্রছাত্রীদের ফি বাড়ানো বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসরকারিকরণের উদ্যোগের কোনও প্রতিবাদ ছাত্র সংসদ করেনি।” উল্লেখ্য, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে বামেদের গড়। যদিও, গতবছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতা দখল করে সংঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। গতবছর এসএফআই এবং দলিত সংগঠনগুলি পৃথকভাবে নির্বাচন লড়ে। যার সুবিধা পেয়ে যায় এবিভিপি। এবারে আর সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করেনি বামেরা। জোট করে লড়াই রুখে দেওয়া গিয়েছে এবিভিপিকে। দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দখলের মরিয়া চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে সেই চেষ্টা।