কলকাতা

‘নারদকাণ্ডে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন মমতা’, বিস্ফোরক অভিযোগ মুকুলের

কলকাতাঃ নারদকাণ্ডে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন মুকুল রায়৷ শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ নিজাম প্যালেসে হাজির হন এই শীর্ষ বিজেপি নেতা৷শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ নিজাম প্যালেসে হাজির হন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ সিবিআই সূত্রে খবর, প্রথমে একান্তে মুকুল রায় ও আইপিএস অফিসার মির্জাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা৷ তারপর মুখোমুখি বসিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ নারদা কাণ্ডে অভিযুক্তদের ভয়েস রেকর্ড পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার প্রথম গ্রেপ্তারি করেছে সিবিআই৷ বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার মির্জাকে গ্রেপ্তার করেন আধিকারিকরা৷ আদালতের নির্দেশে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে নিজেদের হেফাজতে রাখবেন তদন্তকারীরা৷ মির্জার গ্রেপ্তারির পরই মুকুল রায়কে শুক্রবার হাজির হওয়ার নোটিস দেন তদন্তকারীরা৷ কিন্তু সেই হাজিরা এড়িয়ে যান বিজেপি নেতা৷ প্রতিনিধি মারফত চিঠি পাঠিয়ে তদন্তকারীদের তিনি জানান, দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন, তাই আসতে পারবেন না৷ এরপর শনিবার আসার জন্য মুকুল রায়কে ফের নোটিস পাঠান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা৷ সেই নোটিস মতোই এদিন দুপুর আড়াইটেয় নিজাম প্যালেসে হাজির হন মুকুল রায়৷ প্রায় আড়াই ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা৷ প্রসঙ্গত, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের মুখে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপারেশন হইচই ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। যেখানে হাত পেতে টাকা নিতে দেখা যায় তৃণমূলের এক ঝাঁক সাংসদ, বিধায়ক ও মন্ত্রীকে৷ ঘটনায় নাম জড়ায়, তখন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায়, তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের৷ এছাড়া অভিযোগের আঙুল ওঠে শুভেন্দু অধিকারী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়র মতো শীর্ঘ তৃণমূল নেতৃত্বে৷ বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জাকেও এই স্টিং অপারেশনে দেখা যায়৷