গুজরাত বিশ্ববিদ্যলয়ের আহমেদাবাদ ক্যাম্পাসে নামাজ পড়ার সময় হামলা । পড়ুয়াদের দাবি, গুজরাত বিশ্ববিদ্যলয়ের আহমেদাবাদ ক্যাম্পাসের কাছাকাছি কোনও মসজিদে নেই। এখন রোজা চলছে। এইসম সন্ধেয় পড়া হয় তারাবি-র নামাজ। সেই নামাজ পড়ার জন্য হোস্টেলে জড়ো হন মুসলিম ছাত্ররা। অভিযোগ, ওই সময় নমাজ প্রতিবাদে আসা ব্যক্তিরা ধর্মীয় স্লোগান ‘জয় শ্রী রাম’ দিতে শুরু করে। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষে পরিণত হয়। জানা গিয়েছে, আমবাদে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ব্লক ‘এ’-তে এই ঘটনাটি ঘটে। সেখানেই বিদেশি পড়ুয়াদের ছাত্রাবাস আছে। ওই খবর পেয়েই একদল লোকজন লাঠি, ছুরি নিয়ে হামলা চালায় হস্টেলে। নিরাপত্তা রক্ষী তাদে থামাবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পড়ুয়াদের বক্তব্য, হামলাকারীরা তাদের প্রশ্ন করে কে তাদের হস্টেলে নামাজ পড়তে অনুমতি দিয়েছে? প্রশ্ন করা শুরু নয়, হস্টেলে ভ্যাপাক ভাঙচুর শুরু হয়ে য়ায়। ছাত্রদের বাইক, ল্যাপটপ, ফোন ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহত হয়েছেন শ্রীলঙ্কা ও আফ্রিকার একটি দেশের পড়ুয়ারা। পুলিশ আসার খবর পেয়েই তারা পালিয়ে যায়। আহত ছাত্রদের হাসপাতকালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের দূতাবাসেও খবর দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে আমদাবাদের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ দমন) নীরজকুমার বদগুজর জানান, ইতিমধ্যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এফআইআর রুজু করা হয়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন। এদিকে আহত পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে একজন এখনও হাসপাতালে ভরতি আছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তা। এদিকে আক্রান্ত পড়ুয়াদের অভিযোগ, ঝামেলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে পুলিশ সেখানে এসে পৌঁছায়। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আহত পড়ুয়াদের ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়।