কলকাতা: পুজোর আগেই রাজ্যের অধিকাংশ জেলা প্লাবিত। এমন অবস্থায় বেজায় চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী। ডিভিসির জল ছাড়ার বিষয় নিয়ে এদিন নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি বলেন, “অনেকবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও ডিভিসি রাজ্যকে না জানিয়েই জল ছাড়ছে। বিহার-ঝাড়খণ্ডে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়। তার ফল ভুগতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে রাজ্যের একটি মনিটরিং সেল তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে।” জেলায় জেলায় পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অবস্থা কী করে সামাল দেওয়া যায়।তাঁর অভিযোগ, “ড্যামগুলিকে ড্রেজিং করা হয় না। জল ধারণের ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। এর ফলে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।” আর এই সমস্যার জন্য ফের কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুললেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, “বাংলা অনেকটা নৌকার মতো। নেপালে বেশি বৃষ্টি, ভুটানে বেশি বৃষ্টি, ঝাড়খণ্ডে বেশি বৃষ্টি হলে সব জল এখানে চলে আসে। আমাদের এখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়।”জেলাগুলির পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বেশ কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। হাওড়ার দায়িত্বে রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরূপ রায়। হুগলির দায়িত্বে ববি হাকিম। মালদার দায়িত্বে জাভেদ খান ও গোলাম রব্বানী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই জাভেদ খান মুর্শিদাবাদ থেকে মালদা যাবেন। মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে শুভেন্দু অধিকারী ও মেদিনীপুরের দায়িত্বে সুব্রত মুখোপাধ্যায়।উল্লেখ্য, সোমবার বিহারের বন্যা সামলাতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর পরামর্শের পরই খুলে দেওয়া হয় ফরাক্কার ১০৯টি গেট। ফলে দক্ষিণবঙ্গে আরও বেড়ে যায় বন্যার আশঙ্কা। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী।