খেলা

MI vs RCB : রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৭ উইকেটে হারালো মুম্বই ইন্ডিয়ানস

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৯৬/৮ (ডুপ্লেসিস- ৬১, কার্তিক ৫৩ অপরাজিত, বুমরাহ- ২১/৫)
মুম্বই ইন্ডিয়ানস: ১৯৯/৩ (ঈশান কিষান-৬৯, সূর্যকুমার যাদব- ৫২)
মুম্বই ৭ উইকেটে জয়ী।

শেষ হাসি হাসল মুম্বই। ফের হেরে ফিরতে হল বেঙ্গালুরুকে। মুম্বইয়ের ব্যাটিংয়ের সময় কোনও সময়ই মনে হয়নি আরসিবির জেতার আদৌ কোনও ইচ্ছে রয়েছে বলে। ঈশান কিষান একাই প্রায় কোহলিদের গ্রাস থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন। সঙ্গত দিলেন রোহিত। পরে ঝড় তুললেন সূর্যকুমারও।  হার্দিক টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শুরুটা ভালোই হয়েছিল। দ্বিতীয় ওভারেই কোহলির (৩) উইকেট তুলে নেন বুমরাহ। খানিক বাদেই ফেরেন উইল জ্যাকস (৮)। ২৩/২ এই অবস্থায় ক্রিজে আসেন রজত পতিদার। অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসিস তাঁকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই শুরু করেন। প্রায় ৮ ওভারের পার্টনারশিপে ৮২ রান তোলেন তাঁরা। কিন্তু পতিদার ২৬ বলে ৫০ করে আউট হন। কোনও স্কোর না করে ফেরেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু শেষদিকে চমৎকার খেলে যান দীনেশ কার্তিক। ২৩ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থেকে যান তিনি। ডুপ্লেসিস (৪০ বলে ৬১) আউট হওয়ার পরে তিনিই আরসিবিকে পৌঁছে দেন ১৯৬ রানে। শেষ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ছক্কা মারেন তিনি। পরের বলে মারেন বাউন্ডারি। তিনি না থাকলে ১৮৫ টপকানোই হয়তো কঠিন হত বেঙ্গালুরুর পক্ষে। অন্যদিকে মুম্বইয়ের বোলিংয়ে এদিন নিজের ‘ম্যাজিক’ দেখালেন বুমরাহ। একাই পেলেন পাঁচ উইকেট। শুরুতে কোহলিকে তুলে নেওয়ার পর ম্যাচের ১৭ ও ১৯তম ওভারে দুটি করে উইকেট তুলে নিয়ে আরসিবির মিডল ও লোয়ার মিডল ব্যাটিং অর্ডারকে একাই শুইয়ে দেন তিনি। রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চমৎকার ব্যাট করতে থাকেন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার। রোহিত কিছুটা স্লো থাকলেও ঈশান কিষান দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। একটু পরে হাত খুললেন ‘হিটম্যান’ও। মাত্র ৮.৩ ওভারে ১০০ রানে পৌঁছন হার্দিকরা। কিন্তু এর পরই আউট হন ঈশান। আকাশদীপের বলে কোহলির হাতে লং অফে ধরা পড়ার আগে অবশ্য ৩৪ বলে ৬৯ রান করে যান তিনি। ৫টি ছক্কা ও ৭টি বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। এর পর ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন সূর্যকুমার। এর মধ্যেই টপলে দুরন্ত ক্যাচে ফেরালেন রোহিতকে (৩৮)। এই ক্যাচটি এবারের আইপিএলের সেরা ক্যাচ কিনা তা নিয়ে তর্ক চলতেই পারে। অধিনায়ক হার্দিক নেমেই প্রথম বলে ছক্কা মারেন। সেই মুহূর্তেই যেন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আজও আরসিবিকে হেরেই ফিরতে হবে। শেষ পর্যন্ত সূর্যকুমারের দুর্দান্ত মারকুটে ইনিংস শেষ হয় ১৯ বলে ৫২ রানে (৫টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা)। শেষ পর্যন্ত ১৫.৩ ওভারেই শেষ হয়ে গেল খেলা।