লখনউ সুপার জায়ান্টস- ১৬৭/৭ (রাহুল ৩৯, আয়ুষ অপরাজিত ৫৫, কুলদীপ ২০/৩)
দিল্লি ক্যাপিটালস- ১৭০/৪ (ফ্রেসার ৫৫, ঋষভ ৪২)
৬ উইকেটে জয়ী দিল্লি।
পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে হার। লিগ টেবিলে সবার শেষে পড়ে আছে ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালস। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে শুক্রবার লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারাতেই হত। কুলদীপ যাদবদের দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্সে সেই কাজটাই করল তাঁরা। কে এল রাহুলের লখনউকে ৬ হারিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরল দিল্লি। টস জিতে বিনা দ্বিধায় ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। শুরুতেই ছন্দে থাকা কুইন্টন ডিককের উইকেট হারায় লখনউ। পঞ্চম ওভারে দেবদত্ত পাড়িক্কালের উইকেট নেন খলিল আহমেদই। লখনউ ইনিংসের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায় অষ্টম ওভার। চোটের জন্য গত কয়েক ম্যাচে পাওয়া যায়নি বাঁ হাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদবকে। এই ম্যাচে মুকেশ কুমার এবং কুলদীপের প্রত্যাবর্তন। ইনিংসের অষ্টম ওভারে আক্রমণে আনা হয় কুলদীপকে। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ফেরান মার্কাস স্টইনিস ও নিকোলাস পুরানকে। এর মধ্যে দ্বিতীয় উইকেটটি ছিল দেখার মতো। নিকোলাস পুরান বিধ্বংসী ফর্মে রয়েছেন। তাঁকে গোল্ডেন ডাক! কুলদীপের গুগলি ধরতে পারেননি পুরান। অ্যাওয়ে টার্নের জন্য খেলেছিলেন। গুগলিতে ক্লিন বোল্ড। স্পিনারের বলে উইকেট উপড়ে যাওয়া সাধারণত ঘটে না। মাত্র ৯৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। দিল্লি ক্যাপিটালসকে চাপে ফেললেন দিল্লিরই এক ক্রিকেটার। উচ্চতা কম, পাওয়ার হিটার। তাঁকে পকেট রকেট বলেই ডাকা হয়। সেই আয়ুষ বাদোনির ৩৫ বলে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস এবং আর্শাদ খানের ১৬ বলে ২০ রানের সৌজন্যে ১৬৭ রানের মতো বড় স্কোরে পৌঁছয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। দিল্লির হয়ে অনবদ্য বোলিং কুলদীপের। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট।