যৌন নির্যাতনের ফলে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার গর্ভপাতের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ ১৪ বছরের নাবালিকা প্রায় ৩০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ৷ গত ১৯ এপ্রিল তাঁর শারীরিক পরিক্ষার জন্য মুম্বইয়েরন সিওন হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে একটি মেডিক্যাল টিম তৈরির নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত ৷ সোমবার সেই পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর গর্ভপাতের নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত ৷শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার জানায়, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪২ নম্বর ধারার অধীনে এই রায় দেওয়া হয়েছে ৷ এই ধারার আওতায় যে কোনও মামলায় সম্পূর্ণ ন্যায়বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনও আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতকে ৷ আজ সেই ক্ষমতায় লোকমান্য তিলক মিউনিসিপ্যাল মেডিকেল কলেজ এবং জেনারেল হাসপাতালের (এলটিএমজিএইচ) ডিনকে অবিলম্বে গর্ভপাতের জন্য চিকিৎসকদের একটি দল গঠনের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত । সেইসঙ্গে বম্বে হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷সম্প্রতি, ধর্ষিতা নাবালিকার পরিবার তার গর্ভপাত করতে চেয়ে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানায় ৷ তবে তা খারিজ হয়ে যায় ৷ অবশেষে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন নাবালিকার মা ৷ গত শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত দুই সদস্যের বেঞ্চ ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দেয় ৷ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা নির্দেশে জানান, শনিবারই সিওন হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট চিকিৎসকদের একটি বিশেষ বোর্ড তৈরি করে নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করবে ৷প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে ৷ নাবালিকা 28 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ৷ এই পরিস্থিতিতে তার গর্ভপাত করলে তাতে ওই নাবালিকার জীবনের কোনও ঝুঁকি থাকবে না তো ? এ বিষয়ে মেডিক্যাল বোর্ডের মত কী, তা আদালতকে জানাতে হবে ৷” সোমবার সকালে এই মামলাটি তালিকাভুক্ত করারও নির্দেশ দেন তিনি ৷ সেই মতো হাতে রিপোর্ট পাওয়ার পর আজ মামলার শুনানিতে নাবালিকার গর্ভপাতের নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত ৷