বেশ কয়েক দিন পরেই অবশেষে দেশের নির্বাচন কমিশন জানাল, প্রথম দু দফায় দেশে কত ভোট পড়ল। যেটা না হওয়া দেশের বিরোধী নেতারা সরব হয়েছিলেন। কমিশন জানাল, প্রথম দফায় দেশে মোট ভোট পড়েছে ৬৬.১৪ শতাংশ। আর দ্বিতীয় দফায় ভোটদানের হার ৬৬.৭১ শতাংশ। ভোট শেষ হওয়ার পরেই কমিশন ভোটদানের হার জানিয়েছিল। কিন্তু সেটা চূড়ান্ত ছিল না। ঠিক কতটা ভোট পড়েছে তা জানাতে কমিশনের লেখে গেল বেশ কয়েকটা দিন। প্রথম দফায় দেশের ২১টি রাজ্যে মোট ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। আর দ্বিতীয় দফায় ভোট হয় ১২টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৮৭টি লোকসভা আসনে ভোট হয়েছিল। দেশে উতসাহ কম থাকলেও বাংলার ভোটারদের মধ্যে লোকসভা ভোট নিয়ে আগ্রহ দেখা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুটি দফায় বাংলার ৬টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। প্রথম দফায়- জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার। দ্বিতীয় দফায়- দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জ- উত্তরবঙ্গের এই ৬টি কেন্দ্রে। কমিশনের হিসেব বলছে, দিদির রাজ্যে মহিলা ভোটারদের মধ্যে ভোটদানের উতসাহ ব্যাপকবাবে দেখা গিয়েছে। প্রথম দফায় বাংলায় ভোট পড়েছে প্রায় ৮১.৫০ শতাংশ। আর দ্বিতীয় দফায় ভোটদানের হার প্রায় ৭৬ শতাংশ। বিস্তারিত হিসেব বলছে, বাংলায় প্রথম দফায় পুরুষ ভোটারদের ভোটদানের হার ৮১.২৫%, মহিলাদের ৮২.৫৯ শতাংশ। আর দ্বিতীয় দফায় মহিলা ভোটাররা ভোট দিয়েছেন ৭৭.৯৯% আর পুরুষ ভোটারদের ভোটদানের হার ৭৫.৯৯%। দেশের ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮৯টি-তে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। গড়ে ভোট পড়েছে প্রায় ৬৬ শতাংশ। গত লোকসভার তুলনায় এবার দেশে ভোটদানে উতসাহ কম। আর এতেই কিছুটা হলেো চিন্তার ভাঁজ বিজেপি-র কপালে। কারণ মোদী হাওয়া কাজ করলে ভোটারদের মধ্যে ভোটদানের উতসাহ বাড়ে, আর তাতে লাভ হয় বিজেপির। আর ভোচদানে উতসাহ কম থাকলেও মোদী হাওয়ার জোর কমে, তাতে লাভ হয় বিরোধী দলগুলির। যদিও এত সহজে ভোটদান কম -বেশীর হিসেব মেলানো যায় না। অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞই বলেন, ভোটদান কম হওয়া মানে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা নিয়ে উতসাহ না থাকা। তার মানে সেই হিসেবে এতে লাভ বিজেপির। তবে এটা ঠিক নেতারা যতই চেঁচান, এবারের লোকসভা ভোট নিয়ে বাংলা, ত্রিপুরা-র মত রাজ্যগুলিকে বাদ দিলে বেশীরভাগ জায়গায় তেমন মাথাব্যথা দেখা যাচ্ছে না।