কলকাতা

‘বাংলায় দুর্গা পুজো হয়, এটা উৎসব নয়’, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের

বাঙালির শ্রেষ্ঠ ‘উৎসব’ দুর্গোৎসব, এ কথা বহুজন বিদিত। দেশের সীমান্ত পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও বাংলার এই উৎসবের আকর্ষণ সমান। তবে, বাংলায় দুর্গা পুজো হয়, এটা ‘উৎসব’ নয়, এবার এমনটাই মন্তব্য করলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করা কড়া সমালোচনা করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একটি বক্তৃতায় বলছেন, ‘দুর্গা পুজো হয় বাংলায়, দুগা উৎসব হয় না। বাংলায় দুর্গা পুজো শুরু হয়েছে, আমাদের এটাকে উৎসব বানাতে হবে।’ আসামের মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য নিয়ে চূড়ান্ত সমালোচনা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। তৃণমূল এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে , আমাদের দুর্গা পুজো উদযাপনে হিমন্ত কীভাবে প্রশ্ন করেন? মা দুর্গাকে নিয়ে মোদির নেতার এই মন্তব্য বাংলা কোনওভাবেই সহ্য করবে না। তৃণমূলের বক্তব্য, প্রথমে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মা দুর্গার বংশ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস দেখিয়েছে। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ মিথ্যা দাবি করেছিলেন যে বাংলায় দিদি দুর্গা পুজো উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা প্রশ্ন করেছেন দুর্গা পুজোকে ‘দুর্গোৎসব’ বলা হয় না। তৃণমূলের কথায়, ‘বাংলার ঐতিহ্য ও বিশ্বাস সম্পর্কে তাঁদের অজ্ঞতা আরও প্রকট হল।’ বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, ‘যে মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যে এনআরসি করে ১৩ লাখ হিন্দু বাঙালিকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে পচিয়ে মারে, তাঁরা বাঙালির দুর্গোৎসব নিয়ে কী বলবে?’ একসময় বিজেপি বলেছিল বাংলায় দুর্গোৎসব হয় না। আজকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে দুর্গাপুজোর মানুষ ৪ দিনের জায়গায় টানা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আনন্দোৎসব পালন করছেন। আজকে বাংলার দুর্গোৎসব ইউনেস্কো হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে। আরেক বিজেপি নেতা (দিলীপ ঘোষ) আবার পিতৃ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এঁরা(বিজেপি) বাংলার সংস্কৃতির ‘অপমান’ করছে বলে দাবি করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালেই ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল হেরিটেজের স্বীকৃতি পায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। বিগত কয়েক বছর ধরে এই উৎসবে পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্য থেকে শুরু করে দশমীর পর শ্রেষ্ঠ পুজো প্রতিমা নিয়ে বর্ণাঢ্য কার্নিভালের আয়োজন করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তরফে।