জেলা

দুষ্কৃতীর খোঁজে শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের ভাড়া বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি ভাড়া বাড়িতে পুলিশি হানা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর একটি ভাড়া বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁর অফিসে হানা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, নির্দিষ্ট একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর ভাড়া বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছিল। এক দুষ্কৃতীর খোঁজে তাঁর ভাড়া বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও, এই তল্লাশির ঘটনার পর কোলাঘাট থানায় হাজির হয় পুলিশ। পরে পুলিশের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ এনেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী পরে বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’ তাঁর মা-বাবাকে হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে কোলাঘাটের শুভেন্দুর ওই বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখানে প্রায় ৭০-৮০ জন পুলিশ কর্মী বাড়ি ঘিরে রাখে। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেখানে ছুটে আসেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। তাঁদের সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারীকে খবর পাঠানো হয়। রাজনৈতিক প্রচার সভা ছেড়ে সেই বাড়িতে আসেন শুভেন্দু। সেখান থেকেই পরে তিনি কোলাঘাট থানায় যান। শুভেন্দু বলেন, ‘আমার কোলাঘাটে একটি ভাড়া নেওয়া বাড়ি আছে। সেখানে ভাড়া নিয়ে থাকি। কিছু রিফ্রেশমেন্টের জন্য সেই বাড়ি ভাড়া নেওয়া আছে। এছাড়া অনেক লোক দেখা করতে আসেন, সেই কারণে বাড়ি ভাড়া নেওয়া আছে। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে সরকারি গেস্ট হাউস নিতে পারি। কিন্তু সেটা আমি নিইনি।’ শুভেন্দু অধিকারী এদিন আরও বলেন, ‘আমার কাছে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ আছে। পুলিশ আমার বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না।’ কোলাঘাট থানা থেকে তিনি পরে ফের তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরে যান।