কলকাতা: পুজোর আগে থেকে টালা ব্রিজ নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ৷ এমনকি পুজোতেও টালা ব্রিজের উপর দিয়ে বন্ধ ছিল যান চলাচল৷ ৩ টনের বেশি ওজনের কোনও গাড়ি না চালানো যাবে না৷ এমনটাই জানিয়েছিল রাইটস৷পুজো কাটতে কাটতেই ফের তৎপর হল প্রশাসন৷ বুধবার মুখ্যসচিবের কাছে ব্রিজের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিল মুম্বইয়ের বিশেষজ্ঞ সংস্থা৷ জানা গিয়েছে, আগামী শনিবার ব্রিজ নিয়ে বৈঠকে করবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া ব্রিজের বিষয়ে৷ইতিমধ্যে টালা ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে মুম্বইয়ের বিশেষজ্ঞ সংস্থা৷ এরপরই টালা ব্রিজ নিয়ে বুধবার নবান্নে মুখ্যসচিবের কাছে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিলেন ব্রিজ বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না৷ ওই রিপোর্টে ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে র্নিমাণেরই সুপারিশ দেওয়া হয়েছে৷ তবে টালা ব্রিজের চূড়ান্ত ভবিষত জানা যাবে শনিবারই৷প্রসঙ্গত, ভারী যান চলাচল করবে না টালা ব্রিজে৷ টালা ব্রিজে বন্ধ হয়েছে বাস ও বড় গাড়ি চলাচল৷ এবার থেকে কেবল ছোট গাড়িগুলিই চলাচল করবে টালা ব্রিজে৷ ২৬ সেপ্টেম্বর টালা ব্রিজ নিয়ে এমন সিদ্ধান্তের কথাই জানিয়েছিল নবান্ন৷ইঞ্জিনিয়াররা জানান, মাঝেরহাট ব্রিজের মতো যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে টালা ব্রিজও। টালা ব্রিজের ভিতরে বিভিন্ন প্রকোষ্ঠে জমে রয়েছে জল। যার জেরে এই সেতুর সংস্কার আর সম্ভব নয়। ফলে টালা ব্রিজ ভেঙে নতুন করে তা গড়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।ব্রিজের র্যাম্পে ফাটল দিয়ে জল ঢুকেছে। সেই জল লোহার সংস্পর্শে আসায় লোহায় মরচে ধরেছে। যার ফলে ফাটল ধরছে কংক্রিটে। কংক্রিট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে লোহার রড। সঙ্গে জল ঢোকায় সেতুর ভারও বেড়েছে। ফলে ভারবহন ক্ষমতা কমেছে এই সেতুর।তাঁরা আরও জানান, টালা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় বিভিন্ন জায়গায় গর্ত করতেই পড়ছে জল। এই জল সেতুতে কীভাবে ঢুকল তা নিয়ে চিন্তিত খোদ ইঞ্জিনিয়াররাও। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টালা ব্রিজ ভেঙে নতুন সেতু তৈরির পক্ষেই সরকারকে সুপারিশ করবেন তাঁরা। নতুন সেতু তৈরি করতে লাগবে অন্তত ৩ বছর।