দেশ

২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া উচিৎঃ প্রধানমন্ত্রী মোদি

লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে কন্যাকুমারীতে তিন দিনের আধ্যাত্মিক তপস্যার পর দিল্লি ফিরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তারপরই দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি দিলেন তিনি ৷ আর সেই চিঠির শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর মন বেশ কিছু অভিজ্ঞতা এবং আবেগে পূর্ণ হয়েছে ৷ তিনি লিখেছেন, “আমি নিজের মধ্যে শক্তির সীমাহীন প্রবাহ অনুভব করছি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন অমৃত কালের সূচনাকাল। আমি কয়েক মাস আগে ১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের দেশ মেরঠ থেকে আমার প্রচার শুরু করেছিলাম। এই নির্বাচনের চূড়ান্ত সমাবেশ আমাকে পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে নিয়ে গিয়েছিল, যে জায়গা মহান গুরুদের দেশ এবং সন্ত রবিদাসজি-এর সঙ্গে যুক্ত একটি ভূমি। তারপর মা ভারতীর পায়ের কাছে চলে আসি কন্যাকুমারীতে।” প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, “ভারতের উন্নয়নের গতিপথ আমাদের গর্ব এবং গৌরবে পূর্ণ করে ৷ কিন্তু একই সঙ্গে এটি ১৪০ কোটি নাগরিককে তাদের দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দেয়। এখন, একটি মুহূর্তও নষ্ট না করে, আমাদের অবশ্যই বৃহত্তর কর্তব্য এবং বৃহত্তর লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের নতুন স্বপ্ন দেখতে হবে ৷ সেগুলোকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে হবে এবং সেই স্বপ্নগুলোকে বাঁচাতে হবে।” এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন, “আমাদের অবশ্যই ভারতের উন্নয়নকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে দেখতে হবে ৷ এর জন্য আমাদের ভারতের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বোঝাও অপরিহার্য। আমাদের অবশ্যই ভারতের শক্তিকে স্বীকার করতে হবে, তাদের লালন-পালন করতে হবে এবং বিশ্বের কল্যাণে তাদের ব্যবহার করতে হবে। আজকের আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে, ভারতের শক্তি হল এমন একটি সুযোগ যেখান থেকে আমাদের পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।” মোদি আরও লিখেছেন, “একবিংশ শতাব্দীর বিশ্ব বহু আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে ভারতের দিকে। আন্তর্জাতিক দৃশ্যপটে এগিয়ে যেতে আমাদের বেশ কিছু পরিবর্তন করতে হবে। সংস্কারের ব্যাপারে আমাদের চিরাচরিত চিন্তাধারাও বদলাতে হবে। ভারত সংস্কারকে শুধু অর্থনৈতিক সংস্কারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পারে না। আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সংস্কারের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের সংস্কারগুলিকে ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি ‘বিকশিত ভারত’ (উন্নত ভারত)-এর আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ।” এরই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, “আমাদের এটাও বুঝতে হবে যে সংস্কার কখনওই কোনও দেশের জন্য একমাত্রিক প্রক্রিয়া হতে পারে না। তাই দেশের জন্য সংস্কার, সম্পাদন ও রূপান্তরের রূপকল্প তুলে ধরেছি। সংস্কারের দায়িত্ব নেতৃত্বের। তার উপর ভিত্তি করে, আমাদের আমলাতন্ত্র কাজ করে ৷ জনগণ যখন জন এর অংশীদারিত্বের চেতনায় যুক্ত হয়, তখনই আমরা একটি সফল রূপান্তর ঘটতে দেখেছি।”