শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা নিউ টাউনের একটি রেস্তরাঁর মালিককে মারধর করার অভিযোগ উঠল অভিনেতা তথা চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই রেস্তরাঁর মালিককে চড়-ঘুষি মেরেছেন অভিনেতা। দেওয়া হয়েছে রেস্তরাঁ বন্ধ করার হুমকিও। বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর দাবি, ওই রেস্তরাঁর মালিক তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং তাঁকে গালিগালাজ করার পর তাঁর ‘মাথাগরম’ হয়ে যায়। এর পরেই তিনি তাঁকে চড় মারেন। তবে রেস্তরাঁর মালিক আনিসুলের পাল্টা দাবি, তিনি অভিষেককে গালিগালাজ করেননি। অভিষেকের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে তাঁর। আনিসুলের কথায়, ‘‘সোহম নিজে আমাকে মেরেছেন। আমি অভিষেককে গালিগালাজ করিনি। আমার অভিষেকের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। আত্মরক্ষার জন্য মিথ্যা বলছেন সোহম। আমি শুটিংয়ের অনুমতি দিয়েছিলাম। ওঁর এক কর্মী আমাকে বলেন, ‘জানিস সোহম, অভিষেকের বন্ধু’। আমি তখন বলি, ‘অভিষেকেরই বন্ধু হোন আর নরেন্দ্র মোদির বন্ধুই হোন, তাতে আমার যায়- আসে না। আমার গেস্ট আসবে আজকে, ঝামেলা করবেন না’। যখন আমি রেস্তরাঁর দোতলায় উঠতে যাই, তখন সোহম এসে আমাকে ঘুষি মেরে বলেন ‘দেখবি পাওয়ার কী হয়?’ তার পর আমাকে লাথি মারেন। আমার কলার চেপে ধরা হয়। এক জন অভিনেতা এবং বিধায়কের ন্যূনতম শিক্ষা নেই। আমাকে রেস্তরাঁ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন। এক জন জনপ্রতিনিধি উন্নয়নমূলক কাজ না করে গুন্ডাগিরি করছেন।’’ অন্য দিকে, সোহম বলেন, ‘‘আমি শুটিং করছিলাম। চিৎকার শুনে ছুটে আসি। আমার এক নিরাপত্তারক্ষীকে ধাক্কাধাক্কি করছিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করি, কী হয়েছে। আমাকে গালাগালি করে। অভিষেককে গালাগাল করে। এটা শুনে মাথাগরম হয়ে যায়। তখন আমি বুঝিয়েছি যে সে কে।’’