এ যেন সিনেমার শ্যুটিং চলছে ৷ পুলিশের এক উচ্চ আধিকারিক একা ৭ জন সশস্ত্র ডাকাতের সঙ্গে লড়ছেন ৷ অস্ত্র বলতে তাঁর সম্বল শুধুই বন্দুক ৷ পুলিশের সেই আধিকারিকের বন্দুকের গুলিতে ঘায়েল হল গোটা ডাকাত দল ৷ রবিবার রানিগঞ্জের নামী সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার সিসিটিভি-র ফুটেজে এই দৃশ্য সামনে এসেছে ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে ডাকাতদের সঙ্গে জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিক (আইসি) মেঘনাদ মণ্ডলের রোমহর্ষক গুলিযুদ্ধের ছবি ৷ আইসি-র এই সাহসিকতার জন্য আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের সব উচ্চ আধিকারিকরাও তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ।ঘটনা প্রসঙ্গে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটরের ডিসি ধ্রুব দাস বলেন, “৭ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতীর সঙ্গে যেভাবে শ্রীপুর ফাঁড়ির আইসি মেঘনাদ মণ্ডল একা লড়াই করেছেন এবং ডাকাত দলের পিছু ধাওয়া করেছেন সেটা যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে ৷” যদিও এই বিষয়ে মেঘনাদ মণ্ডল ক্যামেরার সামনে কিছু জানাতে চাননি ৷ তাঁর একটাই কথা “চোখের সামনে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে দেখে পুলিশ হিসেবে নিজের দায়িত্বটুকু পালন করেছি ৷” রবিবার দুপুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে রানিগঞ্জের একটি নামী গয়নার শোরুমে ৭ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে ৷ অভিযোগ, সোনার দোকানের নিরাপত্তারক্ষীদের আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেয় ডাকাতরা । এরপর দোকানের ভিতরে ঢুকে লুটপাট চালাতে শুরু করে ৷ ঘটনাচক্রে সেই সময় ব্যক্তিগত কাজে জামুড়িয়া শ্রীপুর ফাঁড়ির আইসি মেঘনাদ মণ্ডল রানিগঞ্জ বাজার এলাকায় গিয়েছিলেন । তখনই তিনি দেখতে পান, ডাকাতদল সোনার দোকানের শোরুমে ঢুকছে ৷ এরপরই কর্তব্যপরায়ণ ওই উচ্চ আধিকারিক একটি ইলেকট্রিক খুঁটির পিছনে দাঁড়িয়ে ডাকাত দলের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু করেন ৷ গুলি লাগে এক দুষ্কৃতীর পিঠে । তবে বাইকে করে অন্য দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পালিয়ে যায় সে ৷ রাস্তা পরিবর্তন করে আসানসোলের মহিশীলা এলাকায় পৌঁছয় দুষ্কৃতীরা ৷ যদিও শেষ রক্ষা হয়নি ৷ ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে সেই গাড়ি-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে ঝাড়খণ্ড পুলিশ ৷