কলকাতা

নতুন বিধি না হলে বন্ধ করা যাবে না হুক্কা বার, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

 কলকাতা ও বিধাননগরে হুক্কা বার বন্ধে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এ বিষয়ে আগে সিঙ্গল বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণ নেই। এ দিন শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম কটাক্ষ করেই বলেন, হুক্কা বারের থেকে অক্সিজেন বার খুলুন। তবে শেষ পর্যন্ত আদালত জানিয়ে দেয়, বন্ধ হচ্ছে না হুক্কা বার। তেমন কোনও আইন নেই। তাই হুক্কা বার নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল থাকছে। ফলে এ নিয়ে রাজ্যের আবেদন খারিজ হলো। বিধাননগর এবং তার পর কলকাতা পুরসভা হুক্কা বার নিয়ে আপত্তি তোলে। ২০২২-এর ডিসেম্বরে শহরের সমস্ত হুক্কা বার বন্ধের ঘোষণা করে কলকাতা পুরসভা। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে কয়েক জন হুক্কা বার মালিক হাইকোর্টে মামলা করেন। সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়ে দেন, এ ব্যাপারে যেহেতু কোনও আইন নেই, তাই হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে না। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে। ইয়ং জেনারেশনের উপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে যুক্তি দেওয়া হয়। এ দিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নতুন করে আইন বা নির্দেশিকা জারি করতে পারে। কিন্তু যেহেতু ২০০৩ সালের ‘সেন্ট্রাল টোব্যাকো আইন’ মেনে হুক্কা বার চালানো হয়, তাই তা বন্ধ করা যাবে না। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, শহরের সব রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষকেই হুক্কা বার বন্ধের অনুরোধ করা হয়েছে। অনুরোধে কাজ না হলে অথবা গোপনে হুক্কা বার চললে পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। নিয়ম অমান্য করলে রেস্তরাঁগুলির লাইসেন্স নবীকরণ করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পুরসভা।