কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে মেডিক্যালের জয়েন্ট পরীক্ষা রাজ্যের হাতে ফেরত দেওয়ার দাবি তুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। দেশ জুড়ে ক্রমশ জোরাল হচ্ছে নিট দূর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ। এই আবহে ব্রাত্যর এই দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ডাক্তারি শিক্ষার সর্বভারতীয় এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটের বিরুদ্ধে এবার প্রশ্ন ফাঁস থেকে গ্রেস নম্বর-সহ নানা দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ দিন ব্রাত্য সেই কেলেঙ্কারিকে নিশানা করে বলেন, “এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা। হাজার-হাজার পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। আমাদের রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে অনেক আলোচনা হল। অনেক টক শো হল। তদন্ত হল। গ্রেফতারও হল। কিন্তু কেন্দ্রের এই নিট যা সারা ভারতের ক্ষেত্রে খুব সম্মানের পরীক্ষা সেটার ক্ষেত্রে যা হল গোটা ভারত দেখছে। তার জন্য কোনও তদন্ত হবে না? সিবিআই ইডি মাঠে নামবে না? এই ব্যর্থতার পর আমার মনে হয় ওদেরই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পরীক্ষাটি রাজ্যের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত”। উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে নিট পরীক্ষার মাধ্যমে সর্বভারতীয় স্তরে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি শুরু হয়। এর আগে রাজ্যের বোর্ডগুলি পৃথকভাবে মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিত। সেই পরীক্ষার মাধ্যমে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতেন। কিন্তু ২০১৪-২০১৫ সালেও এই ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি, কারণ বিভিন্ন বোর্ডের আপত্তি ছিল। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্থির হয়, সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।