কলকাতা

প্রতিটি বুথে ভোটারদের হাজিরা বাড়াতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী তৃণমূল কংগ্রেস

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ ২০১৯ এর লোকসভা ভোটকে সম্মান রক্ষার লড়াই হিসাবেই দেখছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণেই এই নির্বাচনকে কোনও ভাবেই হালকা করে দেখছে না তৃণমূল ভবন। তাই নিজেদের জয় সুনিশ্চিত করতে গ্রাম থেকে শহরের বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোটারদের হাজিরা সুনিশ্চিত করতে এখন থেকেই উদ্যোগী হল তারা। সবে মাত্র গতকাল থেকে প্রথম দফায় মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়েছে এই রাজ্যে । নির্বাচনের দিন আসতে এখনও অনেকদিন বাকি। অথচ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এখন থেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভোট দানের জন্য উৎসাহিত করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তারা চান প্রতিটি সচেতন মানুষ উৎসবের মেজাজে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুক। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরা ভালোভাবেই জানেন যে ভোটদানের হার বাড়লে আখেরে লাভ তাদেরই। ভোট গণনায় বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় মাত্র কয়েকশো ভোটের ব্যবধান প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।২০১৬ সালে বিধানসভার নির্বাচনে দেখা গিয়েছে স্বল্প ব্যবধানে শাসকদলের কয়েক জন প্রার্থীকে হারতে হয়েছিল। গত কয়েকবছরে মানুষের জন্য প্রচুর উন্নয়নমুলক কাজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই উন্নয়নের বিভিন্ন কর্মসূচী যে রাজ্যের শাসকদল তৃনমুলকে ভোটে ডিভিডেন্ড দেবে তা ভালোভাবেই জানে রাজ্যের শাসক দল।আর তাই আরও বেশি করে ভোটারদের বুথ মুখী করা গেলে নিজেদেরই লাভ হবে বলে মনে করছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রের খবর, ভোটারদের আরও বেশি করে বুথমুখী করতে ছাত্র-যুবদের নিয়ে বুথ ভিত্তিক এরিয়া কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরা তৃণমূলের কর্মী হলেও সরাসরি তাদের দলকে ভোট দেওয়ার কথা বলবে না। বরং এরা এলাকায় ঘুরে ভোটারদের নিজেদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগের জন্য অনুরোধ করবে। পাশাপাশি, এরা কৌশলে দলের হয়ে জন সংযোগের কাজও সারবেন বলে তৃণমূলসূত্রে জানা গিয়েছে। দলের এক রাজ্যস্তরের নেতার কথায়, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকে। মানুষের জন্য সামাজিক দায়িত্ব পালন করে। ভোটের সময়ও তা অব‍্যাহত থাকবে। ভোট চাইতে নিশ্চিতরূপে আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীরা মানুষের দরজায় যাবেন। একইসঙ্গে ওই সময় নাগরিকদের সুবিধা অসুবিধা দেখবে আমাদের কর্মীরা। সে ক্ষেত্রে দলের ছোটদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভোটারদের নিজের ভোট নিজে দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে।এরা বলবে, যাকে খুশি ভোট দিন, তবে নিজের নাগরিক অধিকার নিজে প্রয়োগ করুন। বিরোধীরা দুর্বল হলেও ভোট যুদ্ধের লড়াইটাকে হাল্কাভাবে নিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব , তাই সেখানে একটা ভোটের মূল্য কী? তারা তা জানেন এবং বোঝেন। তাই তারা চাইছে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হোক। আর সে কারণেই এই উদ্যোগ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।