যখন কেউ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার খবর জানতে পারেনি, তখন সেই ঘটনার কথা জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সোমবার সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি ৷ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত প্রত্যেকের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন, জানান মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিন তিনি বলেন, “আমি সকাল ৯টার সময় এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েছিলাম ৷ তখন থেকে মুখ্য সচিব এবং অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে এই ঘটনার দিকে নজর রেখে চলেছি ৷” তিনি জানান, ঘটনাস্থলে মেডিক্যাল ভ্যান থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা দল, চিকিৎসকদের পাঠিয়েছেন ৷ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখমদের প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একজন ছাড়া বাকিদের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল ৷ আহতদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করছি ৷ এখানে বর্ধমান, কৃষ্ণনগর এবং স্থানীয় বাসিন্দারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷” দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে চাইলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাঁর শিলিগুড়িতে আসতে দেরি হয় বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বারবার ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটলেও ট্রেন কবচ লাগানো হচ্ছে না কেন ? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “আমি রেল মন্ত্রীথাকাকালীন অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস করেছিলাম ৷ মুম্বই কোঙ্কন রেলওয়েজকে কাজে লাগিয়েছিলাম ৷ প্রত্যেক ট্রেনে তা লাগানো হয়েছিল ৷ এরপর অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস লাগিয়ে দুর্ঘটনা আটকে দিয়েছিলাম ৷” তিনি দাবি করেন, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি যে কাজ করেছিলেন, তার ফলেই আজ কলকাতায় নতুন মেট্রো চালু হচ্ছে ৷ এমনকী গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো চলছে ৷ তাঁর পর আর নতুন কোনও কাজ হয়নি ৷ রেল মন্ত্রকের কড়া সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, “রেলে এখন কী হচ্ছে জানি না ৷ তবে মানুষকে রেল ছেড়ে এখন বাইক, সাইকেলে যাতায়াত করতে হচ্ছে ৷” কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রওনা দেওয়ার সময়েও তিনি রেল মন্ত্রকের বাজেট বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে আক্ষেপ করেন ৷ শিলিগুড়িতেও একই সুর শোনা গেল তৃণমূল নেত্রীর গলায় ৷ মমতার কথায়, “রেল বাজেট উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ আগে রেল দফতরকে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হত, এখন তা দেওয়া হয় না ৷ আমি রেলের কর্মীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ৷ তাঁদের পেনশন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ৷”