দেশ

দলের কর্মীকে যৌন হেনস্তা, প্রজ্জ্বলের পর একই অভিযোগে গ্রেফতার দাদা সূরজ রেভান্না 

প্রজ্জ্বল রেভান্নার পর দাদা সূরজ রেভান্না ৷ যৌন হেনস্তার অভিযোগে শনিবার রাতে জনতা দল সেক্যুলারের বিধান পরিষদের সদস্য তথা এইচডি দেবেগৌড়ার আরেক নাতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, তাঁকে হাসনের সিইএন থানায় গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ সূরজের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন আরাকালাগুরুর এক যুবক, যিনি দলের কর্মীও বটে ৷ তাঁর অভিযোগ. গত ১৬ জুন সন্ধ্যায় তালুকের ঘন্নিকাড়ায় ফার্মহাউসে তাঁকে যৌন হেনস্তা করেন সূরজ ৷ যুবকের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা এবং ৫০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে হোলেনারাসিপুরার পুলিশ ৷ শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতারের পর তদন্তের জন্য হাসানের সিইএন থানায় নিয়ে আসা হয় ৷ নিজের গাড়ি করে ফার্মহাউস থেকে তাঁকে থানায় নিয়ে আসা হয় ৷ থানায় যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সূরজ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ ভুয়ো ৷ দেশের আইন ব্যবস্থার উপর ভরসা আছে ৷ পুলিশি তদন্তে সত্যটা বেরিয়ে আসবে ৷” তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এই ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে ৷ মামলায় ইতিমধ্যেই একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷” এফআইআরে অভিযোগকারী জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের সময় তাঁর কাজ দেখে ফোন নম্বর চান এবং দেখা করার জন্য ফার্মহাউসে ডেকে পাঠান সূরজ ৷ ১৬ জুন সন্ধ্যায় সেখানে পৌঁছনোর পর ঘরে ঢুকে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিতে বলেন জেডিএস নেতা ৷ এরপর সূরজ তাঁকে যৌন হেনস্তা করেন বলে দাবি অভিযোগকারীর ৷ তিনি জানান, রাজনীতিতে তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন সূরজ ৷ সেইসঙ্গে ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে তাঁর বড় ক্ষতি হয়ে যাবে বলে হুমকিও দেন ৷ অভিযোগকারী আরও জানান, গত ১৭ জুন সূরজের বিশ্বস্ত শিবুকে মেসেজ করে পুরো ঘটনাটি জানান তিনি ৷ কিন্তু তিনিও তাঁকে হুমকি দেন এবং ২ কোটি টাকা এবং চাকরি করে দেওয়ার কথা জানান ৷ ১৯ জুন প্রাণভয়ে বেঙ্গালুরু ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযোগকারী ৷ এরপর তিনি ডিজি’র সঙ্গে দেখা করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ৷