কলকাতা

রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে বাংলার জল বিক্রি করে দিলে আন্দোলন হবে, প্রধানমন্ত্রীকে কড়া চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলার মানুষকে বঞ্চনা করে, বাংলাকে বঞ্চনা করে কোনওরকম পদক্ষেপ হলে তার তীব্র বিরোধিতা করা হবে- একথা আগেও বহুবার বলেছেন এবার ফের তার পুনরাবৃত্তি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সোমবার নবান্ন সভাঘরে গঙ্গার জল নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যেভাবে বাংলাকে অন্ধকারে রেখে একতরফা কেন্দ্রীয় সরকার চুক্তির দিকে এগিয়েছে তাতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্ন সভাঘরের বৈঠকের মাঝেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাকে বিক্রি করে দেওয়ার কোনওরকম চক্রান্ত হলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন তিনি। বাংলার মানুষকে বঞ্চনা করে বাংলার মানুষের ক্ষতি করে কোনও কিছু করা হলে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক আন্দোলন হবে। সোমবারই এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কড়া চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, বাংলাদেশকে তিনি ভালবাসেন তাঁর সঙ্গে যথেষ্ট সুসম্পর্ক রয়েছে শেখ হাসিনার। কিন্তু বাংলাকে বঞ্চনা করে কোনও কাজ তিনি করবেন না। এ-প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিস্তার জলবণ্টনের কথাও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, তিস্তায় জল নেই। তারপরেও জল দেওয়ার কথা বলছে। নিজেরা কথা বলে সব ঠিক করে নিচ্ছে। আমাদের একবারও বলার প্রয়োজন মনে করছে না। কেন এ-বিষয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে না সে-প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, বালুরঘাটের আত্রেয়ী, পুনর্ভবা নদীর জল কম। আসেই না প্রায়। কারণ বাংলাদেশ আত্রেয়ী নদীর উপর চিনকে দিয়ে ড্যাম বানিয়ে রেখেছে। তখন কেউ দেখে না। তিস্তার উপর ১৪টি হাইডেল পাওয়ার করেছে সিকিম। তখনও কেউ কিছু বলেনি। অথচ বাংলাকে বঞ্চনা করে জল দিতে বলছে। এসব বরদাস্ত করব না। মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, আমি বন্ধুত্ব করতে চাই। কিন্তু বাংলাকে বিক্রি করে দিয়ে নই। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য, উত্তরবঙ্গে বিজেপি জিতেছে বলে যা খুশি তাই করবে এটা চলতে পারে না। চিঠি পাঠিয়েছি। এরপরেও যদি এ-জিনিস চলতে থাকে গোটা বাংলা জুড়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। তাঁর কথায়, মানুষই আমার কাছে শেষ কথা। এর বাইরে কিছু নেই।