জমি কেলেঙ্কারি দুর্নীতি মামলায় জেলে গিয়েছিলেন। জেল থেকে ফিরে আসার পর জোটের শরিক দলগুলি তাঁর উপরেই আস্থা রাখায় ৪ জুলাই ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন হেমন্ত। তবে শপথ গ্রহণের পরেও, হেমন্তকে মুখমুখি হতে হয়েছে আস্থা ভোটের। তবে আস্থা ভোটের কোন অঘটনের কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। তাই বিধানসভায় আস্থাভোটে সহজ জয় ছিনিয়ে নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে পুনর্বহাল হলেন হেমন্ত সোরেন। বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ২৭ জন বিধায়কের পাশাপাশি কংগ্রেসের ১৭টি এবং আরজেডির একজন বিধায়ক মিলে সোরেনের হাতে রয়েছে ৪৫ জনের সমর্থন। অন্যদিকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটে সবশুদ্ধ ৩০ জন রয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের কারণে কক্ষের সদস্য সংখ্যা কমে যাওয়ায় ৩৮টি ভোটই যথেষ্ট ছিল আস্থা ভোটে জয়ী হতে। আস্থাভোট শুরু হতেই সোরেনের পক্ষে ভোট পড়ে ৪৫টি। বিরোধী শিবির ওয়াক আউট করলেও সংসদে ছিলেন নির্দল বিধায়ক সূর্য রায়। তিনি অবশ্য ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেননি। আস্থা ভোটে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে ঝাড়খণ্ডের কুর্সিতে পুনর্বহাল হলেন হেমন্ত সোরেন। এদিকে আস্থাভোট শুরু হতেই বিধানসভায় হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী দলের বিধায়করা। এর পর বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যায় বিরোধী শিবির।