জেলা

হুগলির ভদ্রেশ্বরে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে বউমাকে খুন করল শ্বশুর

 হুগলির ভদ্রেশ্বরে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে বউমাকে খুন করল শ্বশুর। শনিবার সকালে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ভদ্রেশ্বর পালপাড়ায়। মৃত মহিলার নাম মিঠু মিত্র (৩০)। অভিযুক্ত শ্বশুর হেমাংশু মিত্রকে গ্রেপ্তার করেছে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। তবে কি কারণে এভাবে খুন করা হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। এদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ একটি ঘরে ওই মহিলা তাঁর মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। বাজারে গিয়েছিল তাঁর স্বামী নীলাংশু। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে সমস্ত দরজা বন্ধ করে দেয় শ্বশুর হেমাংশু। তার পর ঘুমন্ত বউমার গলায় একের পর এক কাটারির কোপ মারতে থাকে। এই সময় চিৎকার চেঁচামেচির শব্দে পাশে ঘুমিয়ে থাকা দশ বছরের নাতনি উঠে পরে। রক্তারক্তি দৃশ্য দেখে চিৎকার করতে শুরু করে। সেই চিৎকার চেঁচামেচিতেই স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে বাড়িতে। বাইরে থেকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরও মারার হুমকি দেয় হেমাংশু। স্থানীয় মানুষরা জড়ো হয়ে দরজা ভেঙে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। খবর যায় ভদ্রেশ্বর পালপাড়া বাজারে। তা শুনেই ছুটে আসে ছেলে নীলাংশু। আহত মিঠুকে উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই খবর দেওয়া হয় ভদ্রেশ্বর থানা পুলিশকে। ঘটনাস্থল থেকে সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গেছে, নীলাংশু রেলে চাকরি করেন। বাবা, স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে চার জনের সংসার। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নীলাংশু জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে খুব একটা বনিবনা ছিল না বাবার। যে কারণে মাঝে মধ্যেই অশান্তি হত। চন্দননগর হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই খুনের পেছনে প্রকৃত কারণ কী তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।