ক্লাবঘরের মধ্যে হাত–পা ধরে চ্যাংদোলা করে ঝুলিয়ে মার। এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কামারহাটির সেই ঘটনায় বুধবারই জেলবন্দি জয়ন্ত সিংকে আবার হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তারপরই মাঝরাতে হুমকি ফোন পেলেন বলে দাবি করেছেন দমদমের বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। আড়িয়াদহের মা–ছেলের উপর নির্মম অত্যাচারের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে এলাকার ত্রাস জয়ন্ত সিং। তবে তাকে ছাড়াতে মরিয়া শাগরেদরা। এবার জয়ন্তকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা না করলে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়কে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন আতঙ্কিত সাংসদ। এদিকে এই জয়ন্ত সিং সমাজবিরোধী কার্যকলাপে হাত পাকিয়ে এলাকায় ত্রাস জায়ান্ট সিং বলেই পরিচিত হয়ে উঠেছিল। বুধবার ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া সাংবাদিক বৈঠক করে জয়ন্ত সিংকে ‘হিস্ট্রি শিটার’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, ওই মারধরের ভিডিয়ো ২০২১ সালের। আর তা থেকে জয়ন্তের আটজন শাগরেদকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ভিডিয়ো’তে আরও যাদের দেখা যাচ্ছে না, তাদের অন্যান্যভাবে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘ওই মারধরের ঘটনায় ৬ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদেরও ধরা হবে।’ অন্যদিকে নারকীয় অত্যাচারের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। তা দেখেছেন অনেকে এবং শিউরে উঠেছেন। যদিও ওই ভিডিয়ো যাচাই করে দেখেনি বঙ্গনিউজ । তার মধ্যেই এসেছে সাংসদের কাছে হুমকি ফোন। আর সংবাদমাধ্যমে বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘মাঝরাতে ফোন আসে। খুব খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে হিন্দিতে বলে, তুই জয়ন্ত সিংকে না ছাড়ালে গুলি করব।’ এই ঘটনায় জয়ন্ত, সৈকত মান্না ওরফে জঙ্ঘা, সুদীপ সাহা ওরফে গুড্ডু আগেই গ্রেফতার হয়। এই নির্মম মারধরের ঘটনায় যুক্ত থাকার জন্য অভিষেক বর্মণ ওরফে ছোট্টু, সুভাষ বেরা, সুমন দে’কে গ্রেফতার করা হয়েছে।