অম্বানিদের বিয়ের আমন্ত্রণে গিয়ে উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুক্রবার বিকেলে তৃণমূল সুপ্রিমো শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি মাতোশ্রীতে যান ৷ সেখানে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক বৈঠকে আসন্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে উদ্ধব ঠাকরের হয়ে প্রচারের কথাও জানান ৷ এরপর মাতোশ্রী থেকে বেরিয়ে এনসপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাড়ি ‘সিলভার ওক’-এ পৌঁছন মমতা ৷ এদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সাফ বুঝিয়ে দেন রাজ্যে যা-ই হোক না কেন, সর্বভারতীয় স্তরে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে তৃণমূল আছে ৷ শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ভূয়সী প্রশংসা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এমনকী তাঁর পাশে থাকার বার্তাও দেন ৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, “নির্বাচনের জন্য আমি এখানে আসব ৷ উদ্ধবজির জন্য প্রচার করব ৷” সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নয়, কার্যত জোটসঙ্গীদের হাতেপায়ে ধরে তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির কুর্সিতে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। এবার কেন্দ্রের প্রতিপক্ষ বিরোধী জোটও বেশ শক্তিশালী। আর এই সরকার যে খুব স্থায়ী হবে না, প্রথম দিন থেকে তেমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মুম্বইয়ে উদ্ধব ঠাকরে অর্থাৎ বিরোধী এক জোট শরিককে পাশে নিয়ে ফের সেকথাই বললেন তিনি। তাঁর সাফ বক্তব্য, বিরোধী জোট খুবই শক্তিশালী এই মুহূর্তে। সরকারকে পদে পদে চাপে ফেলতে প্রস্তুত বিরোধীরা। আম্বানিপুত্র অনন্তের বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে দুদিনের সফরে মুম্বই গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর এই এক সফরে তিনি একাধিক কর্মসূচি রেখেছেন। তারই একটা বিরোধী INDIA জোটের অন্যতম শরিক উদ্ধব ঠাকরেরসঙ্গে বৈঠক। শুক্রবার বিকেলে মাতোশ্রীতে দুজনের মধ্যে আলোচনার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন তাঁরা। ছিলেন উদ্ধবের ছেলে আদিত্যও। সেখানে একাধিক বিষয় কথা বলেন বাংলার (West Bengal)মুখ্যমন্ত্রী। তবে উদ্ধব ঠাকরে বার বারই উল্লেখ করেন, ‘দিদি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ একেবারেই পারিবারিক, রাজনৈতিক কোনও কথা হবে না। তিনি নিজে কোনও রাজনৈতিক কথা বলেনওনি। তবে তৃণমূল (TMC) নেত্রী ন্যায় সংহিতা আইন লাগু নিয়ে কেন্দ্রকে একপ্রস্ত আক্রমণ করেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রের স্থায়িত্ব নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, কীভাবে টিকবে সরকার? বিরোধী জোটের শক্তি নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোটে কংগ্রেসের অংশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ”বাংলায় তো কংগ্রেস, সিপিএমের সঙ্গে কোনও জোট নেই। আমরা তো সিপিএমকে হারিয়েই ক্ষমতায় এসেছি। তাই ওদের হাত ধরে চলব না। তবে দিল্লিতে কংগ্রেস-সহ সকলে আমরা একসঙ্গে আছি। আর আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী।” সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের জেলবন্দি করা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি থেকে তিনি চলে যান শরদ পওয়ারের বাসভবনে। সেখানে পওয়ার ছাড়া এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ‘দিদি’কে একগুচ্ছ উপহার দেন তাঁরা।