জেলা

উপনির্বাচনে তৃণমূলের কাছে ৪-০এ হারলো BJP, দেড় মাসে বাংলায় ১.৮৭ লক্ষ ভোট কমল বিজেপি

আজ, শনিবার চার বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হল তৃণমূল । বিজেপি এখন ৪–০ হয়ে গিয়েছে। এই ফলাফলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্তি বৃদ্ধি হল। আর বাংলার রাজনীতিতে আরও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ল নরেন্দ্র মোদির দল।রায়গঞ্জে ৫০,০৭৭ ভোটে জিতেছেন তৃণমূলের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। রানাঘাট দক্ষিণে তৃণমূলের প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর জয়ের ব্যবধান হল ৩৯,০৪৮।বাগদায় ৩৩,৪৫৫ ভোটে জিতেছেন তৃণমূলের প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর। সবথেকে বড় ব্যবধানে জয় এসেছে মানিকতলায়। ৬২,৩১২ ভোটে জিতেছেন তৃণমূলের প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডে। রায়গঞ্জে বিজেপির ভোট কমেছে পাক্কা ৫৭,০০০। লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ বিধানসভা থেকে বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পাল ৯৩,৪০২ ভোট পেয়েছিলেন। এবার মানসকুমার ঘোষের কপালে জুটেছে মাত্র ৩৬,৪০২ ভোট।অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনে ৪৬,৬৬৩ ভোট পেয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। উপ-নির্বাচনে তাঁর প্রাপ্ত ভোট হল ৮৬,৪৭৯। রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী মনোজকুমার বিশ্বাস ৭৪,৪৮৫ ভোট পেয়েছেন। দেড় মাস আগে লোকসভা নির্বাচনে ওই বিধানসভা থেকে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার পেয়েছিলেন ১,২৩,৫৬৮ ভোট। অর্থাৎ ৪৯,০৮৩ ভোট কমেছে বিজেপির। সেখানে তৃণমূলের ভোট বেড়েছে ২৬,৯০১।  এই ফলাফলের নেপথ্যে বেশ কয়েকটি কারণ আছে। সদ্য লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ধরাশায়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির। তার উপর চার উপনির্বাচনেও পরাজয়ের মুখ দেখতে হল বঙ্গ–বিজেপিকে। আর এটা অস্তিত্ব সংকট হয়ে দাঁড়াল। কারণ বিজেপির প্রথম পরাজয়ের কারণ হল, দলের অন্দরে আদি নেতা, কর্মীদের বাদ দিয়ে নব্যদের বাড়তি সুযোগ দেওয়া। তার ফলে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে এবং কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। দূর থেকে সবাই আছে দেখালেও আসলে কাজ করার লোক নেই। তাই বহু বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি। খোদ মানিকতলায় এই ছবি দেখা গিয়েছে। এখন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে ছাপ্পার অভিযোগ তুললেও আসল কারণটি স্বীকার করছেন না। সেটা হল -লোকজন নেই।