ইন্ডিয়া জোটের শক্তি বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে বিরোধীরা। এ ব্যাপারে উদ্যোগী তৃণমূল। রাজ্যে দলের কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। তাঁর এই প্রতিবাদ কর্মসূচির পাশে দাঁড়ালে তৃণমূল সহ বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার শরিকরা। বিধানসভা ভোটের পর অন্ধ্রে জগন্মোহনের দল ওয়াই এস আর কংগ্রেস পার্টির কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপির বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বিষয়টিকে জাতীয়স্তরে তুলে আনতে এদিন যন্তরমন্তরে ধর্ণায় বসেন খোদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। সেখানে ছিলেন তাঁর দলের সাংসদরা। প্রতিবাদের বিষয়টিকে বৃহত্তর আকার দিতে ওয়াইএসআরসিপির পক্ষে দলের রাজ্যসভার এমপি ভি বিজয়সাই রেড্ডি এনডিএ-বিরোধী দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানান। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক নাদিমুল হককে বিক্ষোভে পাঠানো হয়। সমাজবাদী পার্টি থেকে হাজির হন অখিলেশ যাদব, রামগোপাল যাদব, উদ্ধবপন্থী শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদি, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং প্রমুখ। বিক্ষোভে নাদিম পশ্চিমবঙ্গে বাম আমলের ক্ষমতা বদলের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্লোগানে সামনে রেখে বলেন, ‘আমাদের দলনেত্রীর বার্তা হল, বদলা নয়, বদল চাই’। তাই অন্ধ্রপ্রদেশে সরকার বদলের পর যেভাবে ওয়াইএসআরসিপির ওপর হামলা চলছে বলে অভিযোগ, তা মোটেই গ্রহণীয় নয়। যদিও কংগ্রেসের কেউ এদিন যন্তরমন্তরের ধর্ণায় উপস্থিত ছিলেন না। কারণ, তাঁরা ওয়াইএসআরসিপির বিরুদ্ধে। তবে ইন্ডিয়ার শক্তি বৃদ্ধির পক্ষে। তাই জগন্মোহন নয়, কংগ্রেসের টার্গেট চন্দ্রবাবু নাইডুকেই মোদির এনডিএ থেকে ভাঙিয়ে আনা। সেই কারণেই ক্রমাগত টিডিপি’কে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে উসকাচ্ছে কংগ্রেস। ওদিকে, সূত্রে খবর, তৃণমূল উদ্যোগ বাড়িয়েছে ওয়াইএসআরসিপিকেও সঙ্গে টানার। ইন্ডিয়ার এক নেতা বলেন, শক্তি বৃদ্ধিই তো লক্ষ্য। তা সে যেভাবেই পরিকল্পনা করুক না কেন!