সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে রাজ্য–রাজনীতি এবং জাতীয় রাজনীতিতে বিস্তর বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্লোগান বদলে দিয়েছিলেন শুভেন্দু। যার বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতাকে। এমনকী বঙ্গ–বিজেপির অনেকেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন। যদিও শুভেন্দু ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, তবে তাতে কাজ হয়নি। আর তাই এবার পদ্মফুল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন নদিয়া বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা রফিকুল শেখ। এই দলত্যাগে চাপে পড়ল বিজেপি। এই ঘটনা বাকি সংখ্যালঘু নেতাদের কাছে বিরূপ বার্তা বয়ে নিয়ে যাবে। সুতরাং মুসলিম ভোট যেটুকু বিজেপি পাচ্ছিল সেটায় চিরতরে ধস নামবে। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমানের হাত ধরে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দেন রফিকুল শেখ। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পর রফিকুল বলেন, ‘বিজেপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক দল। সবসময় ভেদাভেদের রাজনীতি করে থাকে। আর শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের জেরেই আমি দল ছাড়লাম।’ সরাসরি এভাবে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে কাঠগড়ায় তুলে দেওয়ায় হইচই পড়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ–বিজেপির ভরাডুবির পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার মধ্যে সংখ্যালঘু নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু তাতে আরও ব্যাক ফায়ার হয়েছে। সল্টলেকে পর্যালোচনা বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ বন্ধ করা হোক। এবার থেকে, জো হামারা সাথ, হাম উনকে সাথ। বাংলায় সংখ্যালঘু এলাকায় ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে। তাই সংখ্যালঘু মোর্চার কোনও প্রয়োজন নেই দলে।’ এই মন্তব্যের জেরেই অসন্তুষ্ট হন নদিয়া বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতা রফিকুল শেখ। আর সিদ্ধান্ত নেন দলবদলের।