আনন্দপুরের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুনের পর গা–ঢাকা দিয়েছিল হত্যাকারী। তবে এই খুনের কিনারা করল কলকাতা পুলিশ মাত্র দেড়দিনের মাথায়। ব্যবসায়ী খুনের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রোমোটার আরিফ খানকে কুপিয়েছিল অভিযুক্ত। তবে এখনও অধরা দুই আরও মাস্টারমাইন্ড। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। শুক্রবার রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় একজন ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত দেহ। তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। আর ব্য়বসায়ীকে খুনের ঘটনায় তুমুল আলোড়ন ছড়ায় আনন্দপুরে। আজ, রবিবার এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় একজনকে। ধৃতের নাম জাকির ওরফে লিলি। তবে এখনও ফেরার আরও দুই অভিযুক্ত আব্বাস–সহ দুজন। সিসিটিভি ফুটেজে ওই যুবককে কোপাতে দেখা যায় বলেই খবর। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যবসায়ী আরিফ খানকে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। তিনি তপসিয়া রোডের জড়িবুটি গলির বাসিন্দা ছিলেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী আরিফ খান আনন্দপুরের উত্তর পঞ্চান্ন গ্রামে কাজে এসেছিলেন। আর রাস্তাতেই তাঁর উপর চড়াও হয় ওই ব্যবসায়ীর এক পরিচিত যুবক। যার নাম আব্বাস। এই আব্বাসের সঙ্গে ছিল আরও দু’জন। ওই ব্যবসায়ীকে বাগে পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে আততায়ীরা। তার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ব্যবসায়ীর। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, চপার দিয়ে ব্যবসায়ী আরিফ খানকে কোপাচ্ছে তিনজন। ওই সূত্র ধরেই আজ রবিবার অভিযুক্ত জাকির ওরফে লিলিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এখনও অধরা আব্বাস এবং আর একজন। অন্যদিকে গ্রেফতার হওয়া আততায়ীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করলে বাকি দু’জনের নাগাল পাওয়া যাবে বলে পুলিশের ধারণা। আব্বাস পুরনো একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা শুরু করে ব্যবসায়ী আরিফের সঙ্গে। দু’পক্ষের মধ্যে ওই বচসা চরমে পৌঁছয়। রাস্তায় ফেলে হঠাৎই চপার বের করে ব্যবসায়ী আরিফকে কোপাতে শুরু করে আব্বাস। সঙ্গ দেয় বাকি দু’জন। আরিফ খান রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তখন এসে তাঁকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন নিহতের পরিজনরা। এই ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো শক্রতার জেরেই আরিফ খানকে খুন করেছে পরিচিতরাই।