ডাউন লাইনে আগেই লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল মালগাড়ি। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে-ছুটতে তাতে ধাক্কা মারে হাওড়া-মুম্বই মেল। এমনই জানালেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ট্রেনের ম্যানেজার মহম্মদ রেহান। তিনি সরাসরি বলেননি যে লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়া মালগাড়িতে ধাক্কা মেরেছে ১২৮১০ হাওড়া-ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস এক্সপ্রেস (ভায়া নাগপুর)। সেটা না বললেও ধাক্কা যে হয়েছে, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। ভোররাতে চক্রধরপুর ডিভিশনের রাজখরসাওয়ান এবং বরাবাম্বুর মধ্যে হাওড়া-মুম্বই মেল লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়ার পরে রেহান বলেন, ‘রাত ৩ টে ৩৯ মিনিট (দুর্ঘটনা) হয়েছিল। আচমকা ট্রেনে পুরো ঝাঁকুনি শুরু হয়। আমি বসেছিলাম। না আমি দাঁড়িয়েছিলাম। তারপর চালকের সঙ্গে কথা হল যে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারপর আমি নেমে গেলাম। যাত্রীরাও নেমে গিয়েছিলেন। চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার ছিল। অত রাতে অন্ধকারে লোকজনদের দেখে কিছু বোঝা যাচ্ছিল না। দেখলাম যে এস৬ থেকে সব কোচ লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। এসি কোচের তো খুব বাজে অবস্থা। অনেকে আহত হয়েছেন।’ সেইসঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ট্রেন ম্যানেজার বলেন, ‘ডাউন লাইনে আগেই একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। আমাদের ট্রেনটা ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল। চালক বলেছেন যে ট্রেনের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিমি। সেজন্য আপ লাইনের উপরে প্রভাব পড়েছে।’ ঝাড়খণ্ডের ওয়েস্ট সিংভূমের ডেপুটি কমিশনার কুলদীপ চৌধুরী জানিয়েছেন, হাওড়া-মুম্বই মেলের দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২০ জন। আর দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ জানিয়েছেন যে ৮০ শতাংশ যাত্রীকে বাসে করে নিয়ে চক্রধরপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ যাত্রীকে স্পেশাল ট্রেনে করে চক্রধরপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তবে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি।