দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নীতীন গডকড়ির চিঠি দেওয়ায় তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। ওই চিঠিতে স্বাস্থ্য বিমা থেকে জিএসটিকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে অর্থ মন্ত্রক বা জিএসটি কাউন্সিল এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। চলতি বছরের ২৮ জুলাই অর্থমন্ত্রী নির্মলাকে চিঠি দেন সড়ক-পরিবহণমন্ত্রী গডকড়ি। সেখানে মেডিক্যাল ইনস্যুরেন্সের থেকে জিএসটিকে পুরোপুরি বাদ দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটিকে ‘জীবনের অনিশ্চয়তার উপর কর’ বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন গডকড়ি। বর্তমানে মেডিক্যাল ইনস্যুরেন্সে রয়েছে ১৮ শতাংশ জিএসটি। দীর্ঘদিন ধরেই যা পুরোপুরি মকুবের দাবি জানিয়ে আসছে দেশের তাবড় বিমা কোম্পানি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গডকড়ির কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয় নাগপুর রেঞ্জের লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন বা এলআইসি-র কর্মচারী ইউনিয়ন। তাতে স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছিল। এর পরই এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দেন তাঁরই সতীর্থ গডকড়ি। শেষ পর্যন্ত এতে সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিলে স্বাস্থ্য বিমা সস্তা হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, মেডিক্যাল ইনস্যুরেন্সের ক্ষেত্রে মোট প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি নেওয়া হয়। যা মকুব হলে প্রিমিয়ামের টাকার অঙ্ক যে কমবে, তা বলাই বাহুল্য। উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি ৫ লক্ষ টাকা কভারেজের স্বাস্থ্য বিমা করিয়েছেন। তাঁর প্রিমিয়াম দাঁড়িয়েছে ১১,০০০ টাকা। যার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি আরোপ করলে ওই ব্যক্তিকে অতিরিক্ত দিতে হবে ১,৯৮০ টাকা। অর্থাৎ তাঁর প্রিমিয়ামের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ১২,৯৮০ টাকা। জিএসটি মকুব হলে ১১ হাজার টাকাই দেবেন তাঁরা। ২০১৭-র ১ জুলাই সারা দেশে জিএসটি লাগু করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা কর আরোপিত হওয়ার বদলে এর মাধ্যমে একটি একক কর ব্যবস্থা চালু করে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য বিমার মতোই জীবন বিমার ক্ষেত্রেও জিএসটির পরিমাণ ১৮ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে।