টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্লকের জনজীবন। একাধিক বাড়ির মধ্যে ঢুকেছে জল। বিঘ্নিত যানচলাচল। আবার মঙ্গলকোটে ভেঙে পড়েছে একাধিক মাটির বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না থাকার জন্য এই সমস্যা হয়েছে। শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাচেতন এলাকায় বৃষ্টির জল ঢুকে ডুবেছে বহু বাড়ি। ভাতার ব্লকের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। এমনকী, রাস্তাঘাট, বাজারগুলিও গিয়েছে জলের তলায়। শুধু তাই নয়, টিউবওয়েলগুলিও রয়েছে জলের তলায়। বর্ধমান কাটোয়া রোডের পাটনার কাছে রাস্তার উপর দিয়ে বইছে জল। মুরাতিপুর, মোহনপুর, বড় বেলুন, বলগোনা, নিত্যানন্দ পুর, ভাতার, মাহাতা এলাকার বেশ কিছু অংশ
জলমগ্ন। প্রভাবিত হয়েছে কালনাও। শুক্রবার ভাতারের মুরাতিপুরে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। বর্ধমান শহরে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাজেপ্রতাপপুর, সুভাষপল্লি, মাঠপাড়া, নীচুপাড়া এলাকায় বৃষ্টি জমার জল প্রবেশ করেছে বাড়ির মধ্যে। ফলে বিপাকে বহু মানুষ। আপাতত অনেককে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রায় ৭০টি পরিবার ঘরছাড়া বলে দাবি স্থানীয়দের। আপাতত ওই পরিবারগুলিকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্কুলে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গত দুই দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ব্যতিক্রমী নয় বর্ধমানও। আর এই বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বহু এলাকা। অন্যদিকে হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের চুঁচুড়া ও চন্দননগরের মধ্যে দেবীপুর এলাকায় আপ লাইনের ধারে ভয়াবহ ধস।
শুক্রবার সকালে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে এই খবর রেল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছয়। তার পরই আপ হুল এক্সপ্রেস কিছুক্ষণের জন্য চন্দননগর স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য বর্তমানে ধীরগতিতে হুল এক্সপ্রেস গন্তব্যের উদ্দেশে পাড়ি দেয়।প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট এলাকা জুড়ে পুকুরের দিকে বেশ কয়েকটি স্লিপার-সহ মাটি ধসে পড়েছে। তার ফলে ওই এলাকায় থাকা পেঁপে-সহ একাধিক গাছ পুকুরে তলিয়ে গিয়েছে। খবর পাওয়ামাত্রই রেলের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঠিক কী হয়েছে, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। ঘটনাস্থলে রয়েছে আরপিএফ-ও। আপাতত আপ লাইনে ওই এলাকা দিয়ে ধীরগতিতে যাতায়াত করছে ট্রেন।