বিদেশ

বাংলাদেশ নতুন করে হওয়া সংঘর্ষে নিহত ৭৯, আহত শতাধিক, দেশজুড়ে জারি কার্ফু, বন্ধ ইন্টারনেট

ফের অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে দেশের ১৮ জেলায় নিহত হয়েছেন ৭৯ জন। এদের মধ্যে পুলিস কর্মীরা রয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই। পরিস্থিতি বিচার করে রবিবার সন্ধ ৬টা থেকে কার্ফু জারি করা হয়েছে সারাদেশে। রাস্তায় নেমে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন আওয়ামী লিগ ও বিক্ষোভকারীরা। ঢাকা ছাড়াও সংঘর্ষ ছড়িয়েছে বগুড়া, পাবনা, রংপুর, মাগুরা, কুমিল্লা, বরিশাল ও ফেনিতে। রাস্তায় নেমে সংঘরেষের পাশাপাশি সরকার বিরোধীরা ডাক দিয়েছেন অসহযোগিতার। তাদের আহ্বান, কোনও ট্যাক্স দেবেন না, কোনও সার্ভিস চার্জ দেবেন না। অফিস আদালত খোলা থাকলেও মানুষজন রাস্তায় বের হতে পারছেন না কারণ বিক্ষোভকারীরা তাদের রাস্তা অবরোধ করছেন। হামলায় সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানার ১৩ পুলিসকর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার এক পুলিস কর্মীও হামলায় নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ১১–১২ জন পুলিস কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রবিবার দিনভর সংঘর্ষে নরসিংদীতে ৬ জন, ফেনীতে ৮ জন, লক্ষ্মীপুরে ৮ জন, সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ মোট ২২ জন, কিশোরগঞ্জে ৪ জন, রাজধানী ঢাকায় ৪ জন, বগুড়ায় ৫ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ভোলায় ৩ জন, রংপুরে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ৪ জন, কুমিল্লায় পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন, শেরপুরে ২জন, জয়পুরহাটে ১ জন, হবিগঞ্জে ১জন, ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১ জন, সাভারে ১ জন ও বরিশালে ১ জনসহ ৮৮ জন নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় পুলিস ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বহদ্দারহাট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। সারা দেশে সংঘাত–সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ঢাকাসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা ও উপজেলা সদরের জন্য কার্যকর হবে।  বর্তমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কারফিউ পরিস্থিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালতের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।